অতিরিক্ত বর্ষণে দেশে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বেড়েছে। কেবল বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েই গত এক মাসে ১ হাজার ৩৫৬ টন মরিচ আমদানি হয়েছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি থাকা সত্ত্বেও তদারকির অভাবে দাম কমছে না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
যশোরের শার্শার বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচের আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও খুচরা বাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে দাম। আমদানি করা ৮০ টাকার মরিচ খুচরা বাজারে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ১১ ট্রাকে ১৬৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। এ নিয়ে গত একমাসে এ বন্দর দিয়ে এক হাজার ৫২১ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত বর্ষণে দেশে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে। দেশের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে শুধুমাত্র বেনাপোল বন্দর দিয়েই প্রতিদিন ১৫০-২০০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি থাকা সত্ত্বেও তদারকির অভাবে দাম কমছে না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
বাজারের খুচরা পর্যায়ে দেখা গেছে, গত মাসে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় পৌঁছেছে। অথচ আমদানিকারকের নথিপত্র অনুযায়ী ভারত থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ আমদানির পর সব খরচ মিলিয়ে বেনাপোল বন্দরে দাম দাঁড়াচ্ছে সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।
বেনাপোলের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক হাফিজুর রহমান জানান, কাঁচা মরিচের বড় একটা অংশ ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে আনতে হচ্ছে। খরচ বাদে তারা কম লাভেই বিক্রি করছেন। কিন্তু হাতবদল হয়ে খুচরা বাজারে দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ আমদানিতে সরকারকে ৩৬ টাকা শুল্ক দিতে হয়। যদি শুল্ক কমানো হয়, তাহলে আমদানি ব্যয়ও কমে আসবে। বাজারে ও দাম কমবে। ক্রেতারা কম মূল্যে ক্রয় করতে পারবে।
বেনাপোল বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা আনন্দ বাণিজ্য ভান্ডারের মালিক আনন্দ বলেন, আমদানি করা কাঁচা মরিচ বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমদানি করা মরিচগুলো সাধারণত দেশের বিভাগীয় শহরে ও জেলা শহরে চলে যায়। এ জন্য আমাদের স্থানীয় বাজারে দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে আমদানি আরও বাড়লে দাম কমবে।
সাধারন ক্রেতা আমিনুর রহমান বলেন, কাঁচা মরিচের দাম অনেক। বাজারে সঠিকভাবে তদারকি না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ বলেন, চাহিদা বাড়ায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়েছে। বন্দরে ট্রাক প্রবেশের পর নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। যাতে করে আমদানিকারকরা দ্রুত ছাড় করে নিতে পারেন।

 
                             
                                    
 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                    -20251031233315.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                    -20251031164732.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
       -20251031234404.webp) 
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন