দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতায় স্থবির হয়ে থাকা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ককে ৬ লেনে উন্নীত করার প্রকল্পে নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই সিলেট অংশের জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উন্নয়নকাজ মূলত জমি অধিগ্রহণের ধীরগতির কারণে বিলম্বিত হয়েছে। সম্প্রতি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিলেটে এসে আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আমরা আশাবাদী, আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে জমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হবে।’
তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে পুরোদমে সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে ৬ লেনে উন্নীত করতে ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর ৬ লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’। এর জন্য মোট ৮২৯.৮৩ একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলেও এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ। ফলে এখনো ৮৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ বাকি।
২০২১ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটির অগ্রগতি এখনো ১০ শতাংশে পৌঁছায়নি। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। কখনো কখনো সিলেট থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে সময় লাগছে ১৫ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত।
এ সময় টার্মিনালের ভাঙাচোরা সড়ক প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প চলমান থাকায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা বরাদ্দ নেই। ফলে অনেক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না। আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছি।’
প্রকল্পের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন