সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম

গান গাওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মারধর, বিচারের বাইরে শিক্ষক

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম

নর্থ বেঙ্গল মডেল স্কুল অ্যান্ড ক্যাডেট একাডেমি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নর্থ বেঙ্গল মডেল স্কুল অ্যান্ড ক্যাডেট একাডেমি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জয়পুরহাটের নর্থ বেঙ্গল মডেল স্কুল অ্যান্ড ক্যাডেট একাডেমিতে গানের লাইন বলার কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামের এক শিক্ষক ওমর ফারুক (পি.কে) ও পরিচালকের আত্মীয়রা শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় জড়িত বলে জানা গেছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, গানের লাইন বলার জন্য শিক্ষক ওমর ফারুক তাদের মারধর করেন। পাশাপাশি আবাসিক হলে পরিচালকের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আশিকুর, এমদাদ ও বাশারও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনে অংশগ্রহণ করেছেন।

শিক্ষার্থীরা বলেছে, কারণ তারা পরিচালকের আত্মীয় হওয়ায় প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।

দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেজাউন জান্নাত রাব্বি জানান, সকাল বেলা শিক্ষক দেরি করায় তিনি গান গাইছিলেন, তখন শিক্ষক তাকে মারধর করেন।

অন্য শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্লাসে ঢুকে শিক্ষক ‘হু আর ইউ’ বলে মারধর শুরু করেন। 

শিক্ষার্থী সোহান ফারদিস অভিযোগ করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, বেতন কিছু কম দেওয়ায় শিক্ষক তাকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মারধর করেছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবক রিভা পারভিন বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত এসে দেখেন শিক্ষার্থীদের ওপর মারধর করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের নির্যাতন প্রায়ই হয় এবং তিনি সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।’

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘একজন শিক্ষককে এমন ঘটনার জন্য শোকজ করা হয়েছে; তবে আবাসিক হলে মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়।’

এ সময় প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চাপ প্রয়োগ করা হয়।

এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ‘আঘাতকারী শিক্ষককে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় মোবাইল কোর্ট করা যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান লিখিত অঙ্গীকার দিয়েছেন, ওই শিক্ষকের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে তাদের সুপারিশে নিয়মিত মামলা করা হবে।’

Link copied!