সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম

নরসিংদীতে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম

সাদেক হোসেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সাদেক হোসেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

পরপর দুটি খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই নরসিংদীর আলোকবালী ইউনিয়নে আ.লীগ নেতা আসাদুল্লাহ ও দেলোয়ার হোসেন দিপু বাহিনীর হাতে যুবদল নেতা সাদেক মিয়া (৪৫) খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাদেক মিয়া মুরাদনগর গ্রামের রূপ মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুল্লাহ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দিপুর সঙ্গে বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী এবং বহিষ্কৃত সদস্য সচিব কাইয়ুম সরকারের মধ্যে এলাকার প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। গত ৫ আগস্টের পর বেশিরভাগ আ.লীগ নেতা-কার্যকরীরা এলাকা ছাড়েন। এদের মধ্যে অনেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মামলার আসামি ছিলেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে আসাদুল্লাহ ও দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় ২৫-৩০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী স্পিডবোটে করে এলাকা প্রবেশ করেন। তারা রাইফেল, পিস্তল, ককটেলসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও কাইয়ুম সরকারের সমর্থকদের ওপর হঠাৎ হামলা চালান। এ সময় বিএনপির সমর্থক মৃত কেনু মিয়ার ছেলে ইদন মিয়া (৬০) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে আ.লীগের সন্ত্রাসীরা আবারও প্রকাশ্যে অস্ত্র মহড়া চালান। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিতে ফেরদৌসি আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূ নিহত হন।

সোমবার সকালে আ.লীগের সন্ত্রাসীরা মুরাদনগর গ্রামে এসে যুবদল নেতা সাদেক মিয়ার ওপর এলোপাতাড়িভাবে গুলি বর্ষণ করেন। সাদেক মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আরও ১০ জন মারাত্মকভাবে আহত হন এবং তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম বলেন, ‘১৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর এলাকায় একটি শক্তিশালী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। তবে সোমবারের ঘটনা ক্যাম্প থেকে অনেক দূরে ঘটেছে। গুলির শব্দ শোনার পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

নরসিংদী মডেল থানার ওসি মো. ইমদাদুল হক জানান, খবর পেয়ে তিনি বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে এলাকায় অবস্থান করছেন এবং অভিযানের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Link copied!