মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ১১:০০ পিএম

নকলায় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে টিকা প্রদান

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ১১:০০ পিএম

নকলায় বিনামূল্যে কুকুর ও বিড়ালকে জলাতঙ্কের টিকা প্রদান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নকলায় বিনামূল্যে কুকুর ও বিড়ালকে জলাতঙ্কের টিকা প্রদান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে শেরপুরের নকলায় বিনামূল্যে কুকুর ও বিড়ালকে জলাতঙ্কের টিকা প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী জলাতঙ্কের টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।

সকালে নকলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সামনে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম। এর আগে র‌্যালি ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বক্তারা জানান, জলাতঙ্ক একটি ভয়াবহ ভাইরাসজনিত রোগ, যা সংক্রমিত প্রাণীর কামড় বা আঁচড়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ জলাতঙ্কে মারা যান। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার মানুষ জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, এমন এক জরিপের তথ্য তারা তুলে ধরেন। তবে সচেতনতা বৃদ্ধি, দ্রুত চিকিৎসা ও নিয়মিত টিকা প্রদানের মাধ্যমে এই রোগ সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বক্তারা বলেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধে শুধু সরকারের উদ্যোগই যথেষ্ট নয়, জনগণকে অধিকতর সচেতন হতে হবে। সবাই যদি তাদের পোষ্য প্রাণীকে নিয়মিত টিকা দেন, তবে খুব সহজেই এ রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জলাতঙ্কের আক্রমণ ঘটলে এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তাই আগাম টিকা নেওয়ার বিকল্প নেই। সংক্রমণের আশঙ্কা থাকলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং টিকা গ্রহণের পরামর্শ দেন তারা। জলাতঙ্ক সম্পূর্ণ প্রতিরোধে নাগরিকদের সচেতনতা অপরিহার্য।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, কুকুর ও বিড়ালকে বিনামূল্যে জলাতঙ্কের টিকা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ থেকে অচিরেই জলাতঙ্ক নির্মূল সম্ভব হবে। তাই জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. সুজন মিয়া, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান রঞ্জু, মো. লুৎফর রহমান ও শহিদুল ইসলাম, ড্রেসার মো. এমদাদুল হক, লাইভস্টক ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট, এলএসপিসহ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, কুকুর ও বিড়াল পালনকারী কৃষক, খামারি, পশুপ্রেমী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ক্যাম্পেইন চলাকালীন উপজেলার অনেকেই তাদের পোষ্য কুকুর ও বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নিয়ে আসেন। প্রকৃতির কল্যাণে এরূপ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি প্রশংসা করেন তারা।

Link copied!