লালমনিরহাটের আদিতমারীর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার করেছেন স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দিনব্যাপী উপজেলা থেকে মহিষখোঁচা বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ পাকা সড়ক সংস্কার করেন তারা।
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পাকা ওই সড়কটির পলেস্তারা উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি, যা দিয়ে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে।
জানা গেছে, মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ, রাস্তার পাশের আগাছা পরিষ্কার ও স্বেচ্ছাশ্রমে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে তাদের এই উদ্যোগ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুমে কাদা ও গর্তের কারণে এই সড়কে চলাচল ছিল কষ্টসাধ্য।
স্কুলছাত্রী কাকলী রানী বলেন, ‘আমাদের স্কুলে যাওয়ার এটিই একমাত্র রাস্তা। আগে কাদা-পানিতে হেঁটে যাওয়া ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। এখন রাস্তাটি সংস্কার হওয়ায় আমরা স্বস্তিতে আছি।’
এলাকাবাসী হোসেন মিয়া বলেন, ‘বন্যার কারণে সড়কের অনেক জায়গায় গর্ত হয়েছিল। এতে রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটত। যুবদলের ছেলেরা নিজেই মেরামত করায় আমরা কৃতজ্ঞ।’
আরেক বাসিন্দা হযরত আলী বলেন, ‘বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার সময় রাস্তার বড় অংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এখন চলাচল অনেক সহজ হয়েছে। যুবদলের ছেলেরা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।’
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিছুর রহমান ও সদস্য সচিব হাসান আলীর নেতৃত্বে প্রায় এক মাস ধরে নেতাকর্মীরা নিজেদের অর্থায়নে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলোতে ইটের খোয়া, বালি ও মাটি ফেলে সংস্কারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিছুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় বন্যা-পরবর্তী সড়ক মেরামত ও পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা এই কাজ করছি। জনগণের চলাচলের কষ্ট লাঘবই আমাদের লক্ষ্য।’
ইতোমধ্যে জেলার ২০টি ইউনিয়নে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত পাকা ও কাঁচা রাস্তা সংস্কার, বৃক্ষরোপণ ও আগাছা পরিষ্কার কার্যক্রমে অংশ নিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। সংস্কারকাজের ফলে চলাচলে অনুপযোগী রাস্তা এখন আবার সচল হয়েছে। এলাকাবাসীর মুখে ফিরেছে স্বস্তি ও কৃতজ্ঞতার হাসি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন