শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম

এইচএসসি পরীক্ষায় একসঙ্গে পাস করলেন বাবা-মেয়ে

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম

এইচএসসি পরীক্ষায় একসঙ্গে পাস করেছেন বাবা-মেয়ে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

এইচএসসি পরীক্ষায় একসঙ্গে পাস করেছেন বাবা-মেয়ে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নাটোরের লালপুরে ঘটেছে এক হৃদয়স্পর্শী ও অনুপ্রেরণামূলক ঘটনা। একই সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন এক বাবা ও তার মেয়ে। এই বিরল অর্জনের নায়ক আব্দুল হান্নান এবং তার মেয়ে হালিমা খাতুন।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর জানা যায়, তারা দুজনই উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দুই জনই প্রশংসায় ভাসছেন।

জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছোট ছেলে আব্দুল হান্নান ১৯৯৮ সালে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস হাই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন। এরপর সংসার জীবনে মনোযোগ দেন তিনি। বর্তমানে আব্দুল হান্নান স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে সংসার পরিচালনা করছেন। কিন্তু তার মনে শিক্ষার প্রতি ভালোবাসা কখনো নিভে যায়নি।

দীর্ঘ ২৫ বছর পর, ২০২৩ সালে রুইগাড়ি হাই স্কুল থেকে পুনরায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেন তিনি। তখন তিনি কাউকে না জানিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এবং নিজের মেয়ের সঙ্গে একসঙ্গে পরীক্ষা দেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান তিনি। পরে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় তিনি বাঘা কাকড়ামারি কলেজ থেকে এবং তার মেয়ে গোপালপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে অংশ নিয়ে একসঙ্গে উত্তীর্ণ হন।

এ বিষয়ে মেয়ে হালিমা খাতুন বলেন, ‘পরিবারে দারিদ্রতা থাকলেও বাবার পড়াশোনার প্রতি প্রবল ইচ্ছাশক্তি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা চাই, একসঙ্গে মাস্টার্স পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করতে।’

বাবা আব্দুল হান্নান বলেন, ছোটবেলায় দারিদ্রতার কারণে পড়াশোনা শেষ করতে পারিনি। সবসময় একটা আক্ষেপ ছিল মনে। মেয়েকে পড়াতে গিয়ে আবার নিজের পড়ার আগ্রহ জেগে ওঠে। বয়স যতই হোক, শেখার ইচ্ছা থাকলে কিছুই অসম্ভব না, আমি সেটাই প্রমাণ করতে চেয়েছি।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান  এ বিষয়ে বলেন, এটি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক একটি ঘটনা। একসঙ্গে বাবা-মেয়ে এইচএসসি পাস করেছেন। এটি সমাজে শিক্ষার প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!