সিলেট ৪০ বিএনপি নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

বিগত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কৃত বিএনপি নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে দলটি।

আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার (৯ নভেম্বর) তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের কারণে বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেশ কিছু বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে তারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পুনর্বহালের আবেদন করেন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে দলীয় ঐক্য সুদৃঢ় করা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।

২ বছরের ফুটফুটে নুসাইবা ডুবে গেল পানিতে

বিস্তারিত পড়ুন

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন: ১নং ওয়ার্ডের সৈয়দ তৌফিকুল হাদী ও মুফতি কমর উদ্দীন কামু, ৩নং ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান মিঠু, ৫নং ওয়ার্ডের মো. কামাল মিয়া, খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন ও শাহেদ সিরাজ, ৬নং ওয়ার্ডের ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ১০নং ওয়ার্ডের মো. সাঈদুর রহমান জুবের, ১১নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম মতছির, ১৪নং ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৫নং ওয়ার্ডের মো. মুজিবুর রহমান, ১৮নং ওয়ার্ডের এ.বি.এম. জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ও সালমান চৌধুরী শাম্মী, ২২নং ওয়ার্ডের বদরুল আজাদ রানা, ২৩নং ওয়ার্ডের মামুনুর রহমান মামুন, ২৪নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবির সুহিন, ২৫নং ওয়ার্ডের অ্যাড. রুকশানা বেগম শাহনাজ, ২৬নং ওয়ার্ডের সেলিম আহমদ রনি, ২৮নং ওয়ার্ডের আলী আব্বাস, ২৯নং ওয়ার্ডের গোলাম মোস্তফা কামাল ও সাহেদ খান স্বপন, ৩০নং ওয়ার্ডের জাবেদ আমিন সেলিম, রাজু মিয়া ও সানর মিয়া, ৩১নং ওয়ার্ডের মো. আব্দুল মুকিত, ৩২নং ওয়ার্ডের অ্যাড. হেদায়েত হোসেন তানভীর ও দুলাল আহমদ, ৩৩নং ওয়ার্ডের গউছ উদ্দিন পাখী ও দেলওয়ার হোসেন নাদিম, ৩৭নং ওয়ার্ডের দিলওয়ার হোসেন জয়, ৩৮নং ওয়ার্ডের উসমান হারুন পনির, ৩৯নং ওয়ার্ডের আলতাফ হোসেন সুমন, ৪০নং ওয়ার্ডের আব্দুল হাছিব এবং ৪২নং ওয়ার্ডের সুমন আহমদ সিকদার।

এ ছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছেন, ২২, ২৩ ও ২৪নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সালেহা কবির শেলী, ১০, ১১ ও ১২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের রুহেনা বেগম মুক্তা ও অ্যাড. জহুরা জেসমিন, ১৬, ১৭ ও ১৮নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কামরুন নাহার পিন্নি এবং ২নং ওয়ার্ডের নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ।

মাটির নিচ থেকে গাঁজা উদ্ধার, মাদক কারবারি আটক

বিস্তারিত পড়ুন

দলীয় সূত্রে আরও জানা যায়, দলের সাংগঠনিক ঐক্য শক্তিশালী করা ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সমন্বয় জোরদারের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় নেতারা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তাদের পুনর্বহালের জন্য আবেদন করে আসছিলেন।

বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, ‘দল পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী আন্দোলন-সংগ্রামে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে চায়। এজন্যই বহিষ্কৃতদের ক্ষমা করে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’