ঠাকুরগাঁও-২ আসনের আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মো. নাহিদ রানা বলেছেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরও কৃষকদের সার ও কীটনাশক কিনতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। কৃষি প্রধান এই অঞ্চলে কৃষকের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবি পার্টি জনতার ক্ষমতায়নের পার্টি। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে গরিব মানুষ নিজের ভোটে নিজের প্রতিনিধি সংসদে পাঠাবে—যেখানে আইন হবে জনগণের পক্ষে, আর প্রশাসন কাজ করবে মানুষের জন্য।’
নাহিদ রানা উল্লেখ করেন, ‘এবারের নির্বাচন হবে সাধারণ মানুষের বিজয়ের নির্বাচন। আমরা প্রমাণ করতে চাই, রাজনীতি মানে লুটপাট নয়—বরং সততা, সেবা ও আত্মত্যাগের প্রতিযোগিতা।’
গত ৩১ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে হাজারো কৃষক, শ্রমিক, নারী, যুবক ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে এক বিশাল গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই গণসমাবেশে বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাহিদ রানা।
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ ও ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই গণসমাবেশে অবৈধ অর্থ পাচার রোধে আইন প্রণয়নসহ চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা সমস্বরে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বাংলাদেশ বদলের নির্বাচন, যেখানে গরিব, কৃষক ও প্রান্তিক জনগণ সংসদে গিয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে।
ওই সময় নাহিদ রানার বক্তব্যে উঠে আসে বাস্তব জীবনের কৃষকের কষ্ট, প্রান্তিক মানুষের বঞ্চনা ও ন্যায্য সমাজ বিনির্মাণের অঙ্গীকার। তিনি কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত, দুর্নীতি রোধ, যুবসমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নারী উদ্যোক্তা বিকাশকে এবি পার্টির অগ্রাধিকারমূলক লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, এবি পার্টি এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চায় যেখানে কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না, কৃষকের ঘাম শুকানোর আগেই তার ন্যায্য দাম মিলবে আর সাধারণ মানুষই হবে রাষ্ট্রের আসল মালিক।
গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম। তিনি বলেন, ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থানের কর্মীরা দেশের প্রান্তিক ও নিরীহ জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করছে। সততা ও সাহসিকতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
এ সময় অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘মাঠে ঘাম ঝরানো কৃষক যেন ন্যায্য মূল্য পায়, সেজন্য মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট ভাংতে হবে।’
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের নারী নেত্রী শিল্পী বেগম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের নাঈম আহমেদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ছামিউল আলম রাসু, ইঞ্জিনিয়ার নজরুল হক, কনক রহমান, শেখ নাসিরউদ্দীন, অ্যাডভোকেট রায়হান কবীর, বান্না বাঁশ টুডুসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা আহ্বায়ক মো. শহীদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাসেদুজ্জামান শুভ ও মো. সুমন আলী এবং যুগ্ম সদস্য সচিব মো. আবু রায়হান।

-20251107192422.webp)
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন