মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০১:২৯ পিএম

নিখোঁজের ৭২ ঘণ্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার, আটক ২

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০১:২৯ পিএম

খবর পেয়ে বাড়িতে ভিড় করেন স্বজনরা, ইনসেটে আনাস। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ ।

খবর পেয়ে বাড়িতে ভিড় করেন স্বজনরা, ইনসেটে আনাস। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ ।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের চিনাশুকানিয়া গ্রাম থেকে নিখোঁজের ৭২ ঘণ্টা পর আনাস খান (৫) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে গ্রামের মধ্যপাড়া নতুন বাজার এলাকার বাঙ্গাল বিল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বাইসাইকেল নিয়ে খেলতে বেরিয়েছিল আনাস। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।

নিহত আনাস চিনাশুকানিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আল আমিনের ছেলে। স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় বোরহান উদ্দিনের বাড়ির কেয়ারটেকার নজরুল ইসলাম (৫০) ও তার স্ত্রী শাহিনুরকে (৪০) আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

নিহতের স্বজন রেজাউল করিম জানান, আনাস নিখোঁজ হওয়ার দুই ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর বাড়ির উঠানে তার বাইসাইকেলটি পাওয়া গেলেও শিশুটির খোঁজ মেলেনি। ওইদিন রাতেই শিশুর দাদা হাসেন আলী খান শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডির সূত্র ধরে থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে। গত রোববার রাতে সন্দেহভাজন নজরুল ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আনাসকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং জানায়, লাশটি বিলের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে তাদের দেখানো স্থান থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

নিহতের দাদা বলেন, আমার নাতি খেলতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। আমরা দিনরাত খুঁজেছি। চার দিন পর তার নিথর দেহ মিলল। ওকে যারা মেরেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

গাজীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) মেরাজুল ইসলাম বলেন, শিশুর মরদেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দেখছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, সন্দেহভাজন দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে শিশুর লাশের অবস্থান জানা যায়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুর বাইসাইকেল চালানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!