টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বিএনপির ৬ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০–১২০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা আসামিরা হলেন : পৌর বিএনপি সভাপতি খালিদ হাসান উথান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন মিয়া, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মহির উদ্দিন, পৌর ছাত্রদল সভাপতি তুহিন, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম।
এজাহারে বলা হয়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি ও ছাত্রদলের একটি দল নির্বাচন অফিসে প্রবেশ করে। তারা উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে উদ্দেশ্য করে দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করে এবং উত্তেজিত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে অফিসারের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয় এবং তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
অফিসের স্ক্যানিং অপারেটর সুমন রানা মোবাইলে ঘটনাটি ধারণ করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় এবং মোবাইলটি কেড়ে নেওয়া হয়। ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনকে রক্ষা করতে গেলে লোহার রডের আঘাতে গুরুতর আহত হন।
হামলাকারীরা অফিসের সার্ভার রুমের গ্লাস, থাই গ্লাস, ফুলের টব ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং হেল্পডেস্কের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে। সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু রায়হান এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
আহত আমজাদ হোসেনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে পুনরায় হামলার শিকার হতে হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার পর জেলা নির্বাচন অফিসার, পুলিশ সুপারসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জেলা নির্বাচন অফিসের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। দ্রুত নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’
গোপালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন ভূঁইয়া বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন