দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৪০ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের স্থলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪০ জন জেলা পুলিশকে। প্রাথমিকভাবে ১৫ জন জেলা পুলিশ বন্দরের নিরাপত্তার কাজ শুরু করেছেন। বাকিরা দু’এক দিনের মধ্যে যোগ দেবেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এবং বন্দরের নিরাপত্তার কাজ শুরু করেছে জেলা পুলিশ। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারীদের নিরাপত্তার জন্য ৪০ জন জেলা পুলিশ এখানে নিয়োজিত থাকবে বলে জানান বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) শামিম হোসেন রেজা।
গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি সাহাজাদা মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বেনাপোল স্থলবন্দরে কর্মরত ৪০ জন এপিবিএন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
দায়িত্বে থাকা এপিবিএন পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘রোববার (১৬ নভেম্বর) ৩ এপিবিএন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার অ্যাডিশনাল ডিআইজি এসএম সালাউদ্দিন স্যারের নির্দেশে বেনাপোল ক্যাম্প বন্ধ করে রাতেই খুলনায় চলে যাওয়া হয়েছে।’
বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি আব্দুল আল মামুন জানান, ‘উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার থেকে জেলা পুলিশ সদস্যরা বন্দরের নিরাপত্তায় কাজ শুরু করেছে।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) শামিম হোসেন রেজা জানান, ‘জাতীয় নির্বাচনে আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের প্রয়োজন হওয়ায় বন্দর থেকে ৪০ জন আর্মড পুলিশ প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আপাতত পোর্ট থানা পুলিশের ১৫ সদস্য কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা পুলিশ সদস্যরা যোগ দেবেন। এসব পুলিশ সদস্য বন্দরের নিরাপত্তাজনিত সব বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।’
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে ২০১২ সালের ৭ জুলাই বেনাপোল বন্দরে এপিবিএন নিয়োগ দেওয়া হয়। বন্দরটিতে এপিবিএন ছাড়াও ১৬৩ জন আনসার সদস্য ও ১৪০ জন বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মী রয়েছে। তারা বন্দরের ৯৩ একর জমিতে স্থাপিত ৩৪টি ওয়্যারহাউস ও একটি কার্গো ভেহিকল টার্মিনালের নিরাপত্তা এবং পাসপোর্টধারীদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নিরাপত্তায় কাজ করে থাকে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন