সাবেক আইজিপি মামুনের সাজায় অসন্তোষ ডাকসু ভিপির

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ বছরের সাজায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি। 

সাদিক কায়েম বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। জুলাই বিপ্লবের পর ১৬ বছর ধরে এই দেশে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল, সেই শক্তির শেকড় আজ বিচারকের রায়ে ভেঙে গেছে।

হাসিনা-কামালের ফাঁসি, মামুনের ৫ বছরের দণ্ড

বিস্তারিত পড়ুন

তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং চল্লিশ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়া থেকে শুরু করে সারা দেশে গণহত্যার ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাদিক বলেন, শহীদ আনাস, শহীদ সাঈদ থেকে শুরু করে হাজারো ভাই-বোনের স্বপ্ন আজ আংশিক পূরণ হলো। এই রায়ের মাধ্যমে জুলাই প্রজন্মের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে।

সাদিক বলেন, সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনে যে মাত্রার অপরাধ করেছেন, সে তুলনায় তার এ শাস্তি অতি নগন্য। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে রায়ের পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাব।

তিনি বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড রায় সঠিক হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকর করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরাতে ইন্টারপোলসহ সব আন্তর্জাতিক আইনি মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে।