ফরিদপুরে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র–জনতার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শেখ ফয়েজ আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের আলীপুর গোলপুকুর ড্রিম শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাঁকে আটক করে উপস্থিত ছাত্র–জনতা। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গত বছর ৫ আগস্টের পর দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলেন শেখ ফয়েজ। চলতি মাসে তিনি দেশে ফিরে আসেন। জুলাইয়ের হামলার আসামি হয়েও সম্প্রতি তিনি তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৌশলে ‘সাহসী’ সাংবাদিক পদক গ্রহণ করেন, এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ দেখা দেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন–ফরিদপুরের সদস্য সচিব সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা হতবাক। সরকার কীভাবে এমন একজন আসামিকে পুরস্কৃত করে! জুলাইয়ে হামলার আসামিকে পুরস্কৃত করা নিহতদের সঙ্গে প্রতারণা ও বেইমানি।’
তিনি জানান, বুধবার ফয়েজকে সামনে পেয়ে তাঁরা আটক করেন এবং পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
সংগঠনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ বলেন, ‘২৪-এর আন্দোলনে শেখ ফয়েজ ছাত্র–জনতার ওপর হামলা করেছে। তার মতো বিতর্কিত ব্যক্তিকে সাহসী সাংবাদিক পদক দেওয়ায় আমরা বিস্মিত। ফরিদপুর প্রেস ক্লাব ইতোমধ্যে তাকে বহিষ্কার করেছে। পুলিশ গ্রেপ্তার করায় আমরা সন্তুষ্ট।’
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, শেখ ফয়েজ জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র–জনতার ওপর হামলার সরাসরি আসামি। বুধবার সন্ধ্যায় আলীপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন