হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন বাড়ছে শীতের দাপট। ভোরের প্রথম আলো ফোটার আগ থেকেই কনকনে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে বাতাসে জমে থাকা অতিরিক্ত আর্দ্রতা মানুষকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে দিনের উজ্জ্বল রোদ ও রাতের তীব্র শীতের কারণে বড় ধরনের তাপমাত্রার ব্যবধান তৈরি হওয়ায় স্থানীয়দের ভোগান্তি বেড়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরের হিমালয় অঞ্চল থেকে আসা শীতল বাতাস জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রার এ ওঠানামা দেখা যাচ্ছে। তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির আশপাশে থাকলেও আগামী দিনে তা আরও কমতে পারে এবং শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়ার বুড়াবুড়ি এলাকার কৃষক হবিবর রহমান বলেন, ভোরবেলা দোকান খুলতেই হাত-পা জমে আসে। ঠান্ডা হাওয়া সরাসরি শরীরে লাগে। মানুষও সকালে খুব একটা বের হয় না, ফলে ব্যবসায় প্রভাব পড়ছে।
জেলা শহরের রিকশাচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ভোর থেকে আয় কমে গেছে। মানুষ ঠান্ডার কারণে বের হয় না। তবুও কাজ তো করতেই হবে, তাই মোটা কাপড় গায়ে দিয়ে রিকশা চালাই।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে এবং শীত জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে। ডিসেম্বরের শুরুতে শীত আরও তীব্র হতে পারে। এ সময় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন