ইউরোপে হামলা করবে রাশিয়া এমন অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ ও ‘পুরোপুরি কল্পনাপ্রসূত’ বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বলেছেন, ইউরোপে আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা নেই মস্কোর এবং চাইলে এ বিষয়ে তিনি লিখিত নিশ্চয়তাও দিতে প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে তিনি রাশিয়া-নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিএসটিও)-এর সম্মেলনে যোগ দেন। পুতিন অভিযোগ করেন, রাশিয়া ইউরোপে হামলা করতে যাচ্ছে এ ধরনের দাবি ‘হাস্যকর’।
তিনি বলেন, ‘সত্য হলো, আমরা কখনোই সেটা (ইউরোপে হামলা) করতে চাইনি। কিন্তু তারা যদি আমাদের কাছ থেকে লিখিত নিশ্চয়তা চায়, তাহলে আমরা সেটাই দেব। কোনো সমস্যা নেই।’
তবে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতারা পুতিনের এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দিহান, কারণ ইউক্রেনে আক্রমণের আগে পুতিন বহুবার বলেছিলেন, ইউক্রেনে হামলা করবে না রাশিয়া।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি খসড়া শান্তি পরিকল্পনা নিয়েও বেশ আশাবাদী পুতিন। তিনি বলেন, এই খসড়া ভবিষ্যৎ সমঝোতার ভিত্তি হতে পারে। তিনি আরও জানান, রাশিয়া আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে প্রয়োজন হলে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতাও রাশিয়ার আছে এবং প্রয়োজনে ইউক্রেনের আরও এলাকা দখল করতে পারে রুশ সেনারা।
প্রেসিডেন্ট পুতিন দাবি করেন, যুদ্ধ থামানোর মৌলিক শর্ত হলো, ইউক্রেনীয় বাহিনী যেন দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলসহ দনবাসের সেইসব জায়গা থেকে সরে দাঁড়ায় যেগুলোর ওপরে রাশিয়ার দখল রয়েছে বা দখল রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তার ভাষায়, ‘ইউক্রেনীয় সেনাদের এসব এলাকা থেকে সরে যেতে হবে, তাহলেই যুদ্ধ থামবে। তারা না সরলে সামরিকভাবেই আমরা তা নিশ্চিত করব।’
তবে ইউক্রেন বরাবরই বলছে, এ রকমভাবে সরে দাঁড়ালে রাশিয়ার জন্য কিয়েভে আক্রমণের পথ খুলে যাবে।
বিশকেকে পুতিন জানান, তিনি আলোচনায় বসতে আগ্রহী। এ সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকারকে তিনি আবারও ‘অবৈধ’ আখ্যা দেন এবং অভিযোগ করেন, তার সঙ্গে আলোচনা করা ‘আইনগতভাবে সম্ভব নয়’।
তার দাবি, জেলেনস্কির মেয়াদ ২০২৪ সালের মে মাসে শেষ হলেও নির্বাচন না হওয়ায় তিনি বৈধতা হারিয়েছেন।




সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন