বিয়ের মত চির বন্ধনের সম্পর্ক ইদানিং কেমন যেন ঠুনকো হয়ে গেছে। দু-একটি বিষয়ে মতের অমিল হলেই এখন বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন অনেকেই। আর যারা বিবাহবিচ্ছেদে যেতে পারছেন না বা যেতে চাচ্ছেন না তাদের মধ্যে অনেককেই পরকীয়ার মত অবৈধ একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন।
দাম্পত্য জীবনের মূল ভিত্তি হলো- বিশ্বাস, সম্মান ও খোলামেলা যোগাযোগ। এই তিনটি উপাদান দুর্বল হয়ে পড়লে সম্পর্কে ঢোকে অবিশ্বাসের ছায়া। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, স্ত্রীর আচরণে কিছু নির্দিষ্ট পরিবর্তন দেখা দিলে তা হতে পারে পরকীয়ার ইঙ্গিত। নিচে এমন কিছু লক্ষণ রূপালী বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
আচরণে হঠাৎ পরিবর্তন- যদি স্ত্রী হঠাৎ করে আগের চেয়ে অনেক বেশি গোপনীয় হয়ে ওঠেন। বারবার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন লুকান, আপনার সামনে অস্বাভাবিক আচরণ করেন কিংবা কথা বলার ধরনে পরিবর্তন আসে। তবে তা হতে পারে মানসিকভাবে অন্য কারো প্রতি জড়িত থাকার ইঙ্গিত।
সময় না দেওয়া ও অযথা ব্যস্ততা দেখানো- অফিসের বাড়তি কাজ, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঘন ঘন সময় কাটানো কিংবা ঘরে থেকেও মানসিকভাবে দূরে থাকা- এসব আচরণ কখনো কখনো নতুন কারো প্রতি টান বা আগ্রহের প্রকাশ হতে পারে।
সাজসজ্জায় হঠাৎ পরিবর্তন- আচরণগত পরিবর্তনের পাশাপাশি যদি হঠাৎ স্ত্রীর পোশাক-পরিচ্ছদ, সাজগোজ ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশে আগের তুলনায় বেশি সচেতনতা দেখা যায়, তবে তা নতুন কারো প্রতি আকর্ষণের ইঙ্গিত হতে পারে।
তবে শুধু এসব লক্ষণ দেখে সম্পর্ক নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয় বরং শান্তভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা এবং প্রয়োজনে পারিবারিক বা দাম্পত্য পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
কারণ পরকীয়া হঠাৎ করে সৃষ্টি হয় না- এটি জন্ম নেয় অভিমান, মানসিক দূরত্ব এবং একে অপরকে না বোঝার ফলেই। তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাই বোঝাপড়া, ভালোবাসা ও নিয়মিত যোগাযোগের চর্চা।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন