ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর হওয়ায় বিটরুটকে ‘সুপারফুড’ বলা হয়। হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখা থেকে শুরু করে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন উপকারে বিটরুটের ভূমিকা প্রমাণিত। তবে অতিরিক্ত বিটরুট খাওয়া কিডনির জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। বিশেষত যাদের আগে থেকেই কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি আছে, তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন।
হৃদস্বাস্থ্যে উপকারী: বিটরুটে থাকা প্রাকৃতিক নাইট্রেট রক্তনালিকে শিথিল করে রক্তসঞ্চালন সহজ করে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
ব্যায়ামে সহায়তা: অক্সিজেন ব্যবহারের দক্ষতা বাড়িয়ে শারীরিক কর্মক্ষমতা উন্নত করে বিটরুটের জুস। এ কারণে খেলোয়াড়দের মধ্যে এটি জনপ্রিয়।
যকৃতের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে: বিটেইনস নামক উপাদান যকৃতকে সক্রিয় রাখে ও শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।
হজমে সহায়ক: বিটরুটের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, ফলে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। বয়সীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি: ভিটামিন সি, আয়রন ও ফোলেটে সমৃদ্ধ বিটরুট রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
সুস্থ ত্বক: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী যৌগ ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা: কম ক্যালরির হলেও উচ্চ আঁশযুক্ত হওয়ায় বিটরুট দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে: বিটালেইনস নামের যৌগ প্রদাহ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ডিটক্স প্রক্রিয়ায় সহায়ক: নিয়মিত বিটরুট খেলে শরীরের ডিটক্স প্রক্রিয়া সক্রিয় থাকে, শরীর থাকে সতেজ।
কিডনির জন্য বিটরুট খাওয়া কীভাবে নিরাপদ থাকবে
বিটরুটে প্রচুর অক্সালেট থাকে, যা কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই যাদের কিডনি সমস্যা আছে, তারা- সপ্তাহে দু-তিনবার স্বল্প পরিমাণে বিটরুট খাবেন। সেদ্ধ করে খেলে প্রায় ৮০ শতাংশ অক্সালেট কমে যায়। পালংশাক, বাদাম, রেউচিনি- যেসব খাবারে অক্সালেট বেশি, সেগুলোর সঙ্গে বিটরুট না খাওয়া ভালো।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন