বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৮:২৮ এএম

বকশীগঞ্জে সার না পেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৮:২৮ এএম

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সার না পেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা। অবরোধের ফলে বকশীগঞ্জ-রৌমারী সড়কের বাট্টাজোড় নতুন বাজার এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা যানজট সৃষ্টি হয় এবং সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এ অবরোধ চলে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার আশ্বাসে বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নির্ধারিত চাহিদা অনুযায়ী কৃষকেরা সার পাচ্ছিলেন না। এতে কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বাট্টাজোড় ইউনিয়নের নতুন বাজারে ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে সার বিতরণের কথা ছিল। তবে বরাদ্দের তুলনায় অতিরিক্ত কৃষক সার নিতে আসায় ডিলার রোমান মিয়া সাময়িকভাবে সার সরবরাহ বন্ধ করে দেন।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কৃষকেরা সড়কে অবস্থান নেন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা সড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

অবরোধের কারণে বকশীগঞ্জ-রৌমারী সড়কে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ভোটার আইডি কার্ড যাচাই করে সার সরবরাহের আশ্বাস দিলে কৃষকেরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।

বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। স্থানীয় কৃষক আয়তুল্লাহ সাজু, রতনা বেগম, মাহমুদ উজ্জামান ও কহিনুর বেগম জানান, প্রয়োজনের তুলনায় তাঁদের সার কম দেওয়া হচ্ছে।

তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, ডিলাররা সরাসরি সার দিতে না পারলেও অবৈধ বিক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়বে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতি মাসেই সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে অনেক সময় চাহিদার তুলনায় কৃষকেরা অতিরিক্ত সার দাবি করেন। তাই জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে প্রকৃত কৃষকদের জমির চাহিদা অনুযায়ী সার সরবরাহ করা হবে। এতে সারের সংকট থাকবে না।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!