বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০৯:৫২ এএম

‘আল্লাহ তুমি আমার ছাওয়ালকে আমার বুকে ফিরিয়ে দাও’

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০৯:৫২ এএম

শিশু সাজিদের অপেক্ষায় তার মা। ছবি- সংগৃহীত

শিশু সাজিদের অপেক্ষায় তার মা। ছবি- সংগৃহীত

তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে জীবিত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ঘটনার পর থেকে উদ্ধারকর্মীরা এক নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত, রাত গড়িয়ে পরদিন সকাল-তবুও শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকলে ঘটনাস্থলে অদূের সন্তানকে ফিরে পেতে মা রুনা খাতুন আহাজারি করছেন। এ সময় তিনি ‘আল্লাহ তুমি কাইড়া (কেড়ে) নিও না আল্লাহ’ বিলাপ করতে থাকেন।

আহাজারি করতে করতে মা রুনা খাতুন বলেন, আল্লাহ আমার ছাওয়ালকে (ছেলে) কত কষ্ট করে মানুষ করেছি। আল্লাহ তুমি কাইড়া (কেড়ে) নিও না। আল্লাহ আমি কষ্ট করে মানুষ (বড়) করব। তুমি কাইড়া (কেড়ে) নিও না আল্লাহ। আল্লাহ তুমি আমার ছাওয়ালকে (ছেলে) আমার বুকে ফিরে দাও আল্লাহ।

এর আগে বুধবার সাড়ে ১২টার দিকে তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু সাজিদ কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের রাকিব উদ্দীনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিশুটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে সকাল হতে না হতে উদ্ধার অভিযানস্থলে শত শত উৎসুক মানুষ ভিড় জমিয়েছে। তাদের সরাতে বেগ পেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

এর আগে বুধবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক দফা নলকূপের ৩০ ফুট গর্তে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ক্যামেরা নামায়। কিন্তু ওপর থেকে পড়া মাটি ও খড়ের কারণে শিশুটি তারা দেখতে পায়নি। তবে একই দিন দুপুরে শিশুটির কান্নার আওয়াজ শোনা যায়। তবে থেমে নেয় ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান।

তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খান বলেন, ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ করছে। গর্ত করার পরে এখন সুড়ঙ্গ করা হচ্ছে। এরপর সুড়ঙ্গ দিয়ে মইয়ের সাহায্যে সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!