হিমালয় পাদদেশীয় উত্তরের সীমান্ত সংলগ্ন জেলা কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশে পৌঁছেছে। ফলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা ঝরছে বৃষ্টির মতো।
এমন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে-খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ। জেলার সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপচরের হতদরিদ্র জনগণও কঠিন শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন ভ্যানচালক মইনুল মিয়া বলেন, ‘কয়দিনের ঠান্ডায় হামার অবস্থা কাহিল। শরীর কাপে কাপে ঠান্ডা লাগছে। হাত-পা শিক নাগছে। ঘর থাকলেও বাইরে যাওয়া যায় না। কাজ না করলে খাবার খাওয়াই কঠিন হয়ে যায়।’
অন্য একজন ভুক্তভোগী, ধরলা পাড়ের দিনমজুর আয়নাল হক বলেন, ‘কাজে বের হইছি। শরীর ঠান্ডায় অবসের মতো হবার নাগছে। পেট তো শীতের কষ্ট মানে না। গরিব মানুষ না খাইলে কী করবে?’
স্থানীয় রাজারহাট আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১০০ শতাংশ।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, তাপমাত্রা ক্রমেই নিম্নগামী হচ্ছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখের পর জেলাজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়, তাই কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন