বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে সরকারি চাদর ও বালিশ নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি অ্যাটেনডেন্টসহ চারজন স্টাফকে মারধর করেছেন রোগীর স্বজনরা।
শুক্রবার (২০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত স্টাফরা হলেন, ইমার্জেন্সি অ্যাটেনডেন্ট মো. ফারদিন মৃধা (২৬), সুজন (২৪), স্ট্রেচার বেয়ারা মো. মাইনুদ্দিন (২৫) এবং নিরাপত্তা প্রহরী রায়হান মৃধা (২১)।
এ ঘটনায় রাতে (১০টা নাগাদ) ভুক্তভোগী ফারদিন মৃধা বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- বাদল মুন্সি (২৮), বেল্লাল (২৪), মহিবুল মৃধা (১৯), শাওন (২২), সবুজ (২৩), সাইফুল ইসলাম (১৯), নিজাম ড্রাইভার (৩৫) ও মাইনুল ইসলাম (২৩)।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে হাত-পায়ে জখম অবস্থায় আবু বক্কর নামে এক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় রোগীর স্বজনরা সরকারি চাদর ও বালিশসহ রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যেতে চাইলে স্টাফরা বাধা দেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর সঙ্গে থাকা ১০-১৫ জন স্বজন স্টাফদের মারধর করেন। স্টাফদের চিৎকারে হাসপাতালের অন্য কর্মীরা ছুটে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং চারজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
হাসপাতালের ইমার্জেন্সি অ্যাটেনডেন্ট ফারদিন মৃধা জানান, রোগীর স্বজনরা আর্থিক অসচ্ছলতার কথা বলে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় জরুরি বিভাগে অবস্থান করেন। পরে স্টাফদের রুম থেকে চাদর ও বালিশ নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দিলে মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, চাদর ও বালিশ নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে স্টাফদের মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চারজনকে আটক করে আমাদের হাতে তুলে দেয়। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।