বরগুনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে পলাতক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায়ে বলা হয়েছে, ‘অর্থদণ্ডের ৫০ হাজার টাকা ভিকটিমের পিতা প্রাপ্ত হবেন।’
মঙ্গলবার (১০ জুলাই) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার গুদিঘাটা গ্রামের কুমুদ বিশ্বাসের ছেলে প্রনব বিশ্বাস (২০)। মামলার অপর আসামি মো. মাসুদ আলম অন্তরকে (১৯) বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজুয়ারা সিপু। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিল।
জানা যায়, বাদীর মেয়ে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই তার মেয়ে স্কুল টিফিনের সময় জ্বরে অসুস্থ হয়ে দুপুর আনুমানিক একটার সময় স্কুল থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে ওয়াপদা রাস্তায় পৌঁছে।
এ সময় আসামি প্রনব, অসিম চন্দ্র ও মো. মাসুদ আলম অন্তর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাদীর মেয়ের পিছু নেয়। বেলা দেড়টার দিকে স্কুলছাত্রী গুদিঘাটা গ্রামের গ্লোককাশী ওয়াপদা রাস্তায় পৌছে। আসামি প্রনব বাদীর মেয়েকে ওয়াপদার রাস্তা থেকে মুখ চেপে টানাহেচড়া করে রাস্তার ঢালে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
বাদী বলেন, ‘আমার ১৩ বছরের মেয়েকে প্রনব জোর করে ধর্ষণ করেছে। আসামি অন্তর ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। আমার মেয়ে ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি। তিনদিন পরে আমরা জানতে পারি, আসামি প্রনব আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। পরে বামনা থানায় মামলা করি। এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট।’
আসামি জামিন পাওয়ার পর থেকে পলাতক থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :