বরগুনায় দোকানে ঢুকে সমন্বয়ক পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর লাইভে এসে ক্ষমা চেয়েছেন সিনহা রহমান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে ছাত্র সমন্বয়ক সিনহা রহমান দাবি করেন, তার মা ও বোন শহরে কেনাকাটার জন্য যায়। সেখানে তার বোনের শরীরে ধাক্কা লেগে পড়ে যায় একটি শিশু। সেটা নিয়ে শিশুটির বাবা ব্যবসায়ী জসিমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। সেখানে তার মাকে জুতা দিয়ে পেটানোর কথা বলায় সমন্বয়ক পরিচয়দারী সিনহা রহমান পরবর্তীকালে ঘটনাস্থলে যান। বিষয়টি তিনি বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করাকালীন সময় ব্যবসায়ী জসিম সকলের সামনে বলেন, ‘জুতা দিয়ে পেটালে কী হবে’ সেই কথার প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ী জসিমের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়।
এ বিষয়ে লাইভে সিনহা রহমান বলেন, ‘মাকে অপমান করায় ছেলে হিসেবে এই কাণ্ড করেন। এ জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
বরগুনা ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি বিভিন্ন মহলের অনুরোধে স্থানীয় শালিস বিচারের মাধ্যমে সুরাহা হওয়ার কথা রয়েছে তাই থানায় এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বরগুনা বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ জানান, সন্ধ্যার পর স্থানীয় বন্দর ক্লাবে বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী ও শহরের রাজনৈতিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে শালিস করার কথা রয়েছে। সেখানে সমাধান না হলে পরবর্তীতে সমিতির সকল সদস্যের মতামতের নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বরগুনা শহরের লেডিস পয়েন্ট নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক জসিম উদ্দিনের ওপর শনিবার (২ আগস্ট) রাত দশটার দিকে বরগুনা পৌর শহরের বিবি সড়কের একটি কাপড়ের দোকানে সমন্বয়ক পরিচয়ে সিনহা রহমান ও তার সহযোগীরা হামলা চালায়। এ সময় শহরে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীরা সকল দোকান বন্ধ করে দেয়।