মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ১১:১৭ এএম

পরীক্ষা নিলে ‘থুথু দিবস’ বলায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ১১:১৭ এএম

মীর মোস্তাফিজুর রহমান লিটন। ছবি - সংগৃহীত

মীর মোস্তাফিজুর রহমান লিটন। ছবি - সংগৃহীত

বরগুনা সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সমাজে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে সহকারী শিক্ষক মীর মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের একটি ভিডিও বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য, বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা এবং বার্ষিক পরীক্ষা নিলে ‘থুথু দিবস’ পালনের হুমকি দিয়েছেন।

জানা গেছে, এই ঘটনায় গত ৪ ডিসেম্বর বরগুনা সদর উপজেলার বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের (ডিপিও) নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১ ডিসেম্বর উপজেলা শিক্ষক সমিতির এক আলোচনায় কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের উপস্থিতিতে লিটন প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হুমকিসূচক বক্তব্য দেন।

প্রধান শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড ১১ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত চলমান কর্মবিরতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে লিটন প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব পালন না করার জন্য চাপ প্রয়োগের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি দায়িত্ব পালন করলে মুখে থুথু দেওয়ার মতো অবমাননাকর মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

এক প্রধান শিক্ষক বলেন, "আমরা সরকারি দায়িত্ব পালন করবই। পরীক্ষা না নিলে অভিভাবকরাই ক্ষুব্ধ হতেন। কিন্তু একজন সহকারী শিক্ষক এভাবে হুমকি দিতে পারে, এটা আমাদের জন্য অপমানজনক ও অস্বস্তিকর।"

তবে অভিযুক্ত শিক্ষক মীর মোস্তাফিজুর রহমান লিটন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, "ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ভিডিও বিকৃত করে ছড়িয়ে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে।"

বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু জাফর মোঃ ছালেহ জানান, অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, "লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

এই ঘটনায় শিক্ষক সমাজে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। অনেকেই মনে করছেন, এমন আচরণ বিদ্যালয়ের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ ও শিক্ষক পারস্পরিক সম্পর্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।

Link copied!