শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম

বোরকা পরে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে স্বামীর অমানবিক নির্যাতন

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত স্ত্রী সুমাইয়া।  ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত স্ত্রী সুমাইয়া। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ভোলার চরফ্যাশনে বোরকা পরে ফিল্মি স্টাইলে স্ত্রীকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। স্বামী ফরহাদ তার বাড়িতে একটি নির্জন ঘরে স্ত্রীকে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে নির্যাতন করেন। এ সময় স্বামীকে বাবা ডেকেও রেহাই পায়নি স্ত্রী। পরে স্ত্রী কোনোরকম প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেই বাড়ির লোকজন তার পরিবারকে খবর দিলে তারা মেয়েকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বুধবার (৯ জুলাই) উপজেলার দুলারহাট থানার আবুবকরপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ফরহাদ ওই এলাকার লিটন সিকদারের ছেলে। স্ত্রী সুমাইয়া চরফ্যাশন পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিবুল্লাহর মেয়ে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমাইয়ার অভিযোগ, দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে সুমাইয়া দেখে তার স্বামী ফরহাদ মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন সময়ে মাদক সেবন করে তাকে নির্যাতন করত। তিনি একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেন স্বামীর সাথে সংসার করবেন না। প্রায় ৮ মাস পর স্বামীর বাড়ি থেকে বাড়িতে চলে আসেন এবং একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি নেন।

বুধবার সকালে সুমাইয়া কর্মস্থলে যাওয়ার পথে তার পেছন থেকে একটি সিএনজি আসলে সে সিএনজিতে উঠেন। তবে তার স্বামী সেই সিএনজিতেই বোরকা পরে নারী সেজে বসে ছিলেন। সিএনজি চালক সুমাইয়াকে বলে পৌর শহর থেকে একটু দূরে তার স্ত্রী অপেক্ষা করছে। এই বলে সিএনজি একটি অচেনা রাস্তা দিয়ে স্বামী ফরহাদের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে গেলে সুমাইয়া দেখতে পান বোরকা পরিহিত নারীই তার স্বামী। পরে একটি নির্জন ঘরে নিয়ে তাকে তিন ঘণ্টা  অবরুদ্ধ রেখে অমানবিক নির্যাতন করেন। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাবা ডেকেও রেহাই পায়নি সুমাইয়া।

তিনি কোনোরকমে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে ওই এলাকার একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেই বাড়ির লোকজনদের পুরো বিষয়টি বলেন। পরে তারা সুমাইয়ার বাবা-মাকে খবর দিলে তারা মেয়েকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সুমাইয়ার বাবা হাবিবুল্লাহ জানান, মেয়ের জামাতা ফরহাদ মাদকাসক্ত হওয়ায় মেয়েকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। তবে মেয়েকে তুলে নিয়ে এমন অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় জামাতা ফরহাদের উপযুক্ত বিচার চান তিনি।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী ফরহাদ আত্মগোপনে চলে যান। তার ফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা যায়নি।

দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ভিক্টিমকে দেখে আসবে এবং ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!