ভোলার চরফ্যাশনে মো. তামিম (১৫) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে রাতের আঁধারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হত্যার উদ্দেশ্যে তার দুই চাচা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তামিমের মা আরজু বেগম। ঘটনার তদন্ত ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুলারহাট থানার আবুবকরপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। মো. তামিম ওই ওয়ার্ডের মো. মোস্তফার ছেলে এবং আবুবকরপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র।
তামিমের মা আরজু বেগম জানান, অভিযুক্তরা তার দুই চাচা শেখ ফরিদ ও খোকন। পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে তার স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২৭ অক্টোবর তিনি বাবার বাড়িতে যাওয়ার সময়, ছেলে তামিমকে ঘরে রেখে যাওয়ার সুযোগে দুই চাচা তাকে মারধর করে।
পরে শনিবার মাগরিবের নামাজের পর পথে তাদের মারধরের পর তামিম অজ্ঞান হয়ে যায় এবং হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা প্রায় তিন ঘণ্টা পর উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত শেখ ফরিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। খোকন দাবি করেছেন, তামিম তার ভাতিজা এবং পারিবারিক ঝামেলা রয়েছে, তবে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



