বগুড়ার আদমদীঘিতে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে নেয়ার পথে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৪ বস্তা চালসহ মোট ১২০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া শাহিদা বেগম নামের এক ডিলারের গুদাম ঘর সিলগালা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘি হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আদমদীঘি সদর থেকে মুরইল বাজারে দুইটি ভ্যানে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ৩৪ বস্তা চাল নেওয়া হচ্ছিল। বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘি হাসপাতালের সামনে স্থানীয়রা ওই দুটি ভ্যান আটক করে। দাবি করা হয়, চালগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আদমদীঘি পশ্চিম বাজারের একটি গুদাম থেকে পাচার করে মুরইল বাজারের উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছিল।
ডিলার শাহিদা বেগমের স্বামী দুলাল হোসেন দাবি করেন, আটক ৩৪ বস্তা চাল তার নয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর বিকেল ৪টায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা আদমদীঘি পশ্চিম বাজার তালুকদার কমপ্লেক্সে অবস্থিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শাহিদা বেগমের ভাড়া গুদাম ঘরে তল্লাশি করেন।
এ সময় সরকারি খাদ্যবান্ধব লেখা ৫১ বস্তা এবং প্লাস্টিকের খোলা ৩৫ বস্তা চালসহ মোট ৮৬ বস্তা চাল জব্দ করে গুদাম ঘর সিলগালা করা হয়। এ ছাড়া মহাসড়কে ৩৪ বস্তা চাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রাখা হয়।
বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল কবির মোবাইলে বলেন, ‘এ ঘটনায় ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারি বিধি মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুদামে যাওয়ায় স্থানীয়রা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন