বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় ককটেল তৈরির সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মো. আতাউর রহমান সেলিম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। রোববার (২ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার নসিপুর ইউনিয়নের ছোট ইটালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সেলিম কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের মো. বাদশা মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে কুমিল্লা জেলা থেকে আসা কয়েকজন ব্যক্তি ছোট ইটালি গ্রামের মোছা. নাসিমা আক্তারের (৪৫) বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। নাসিমার স্বামী মো. মুক্তার হোসেন স্থানীয়ভাবে মাদক কারবারি ও চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
রোববার সকালে তারা ওই বাড়িতে ককটেল তৈরির সময় হঠাৎ একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেলিম গুরুতর আহত হন। বিস্ফোরণের পর স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে প্রশাসন গিয়ে আহত সেলিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় আরও ২–৩ জন সহযোগী পুলিশ দেখে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, গাবতলীর মাঝবাড়ী গ্রামের একটি ডাকাত দলের সহযোগিতায় কুমিল্লা থেকে আসা কয়েকজন ব্যক্তি মুক্তার হোসেনের বাড়িতে অবস্থান নেন এবং বিস্ফোরক তৈরির পরিকল্পনা করেন।
গাবতলী মডেল থানার অফিসার ওসি সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিস্ফোরণের সময় বাড়িতে আরও দুইজন উপস্থিত ছিলেন; তারা পালিয়ে গেছেন এবং এখনো শনাক্ত করা যায়নি। ঘটনাস্থলের ঘরটি সিলগালা করা হয়েছে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল (বোম ডিস্পোজাল ইউনিট) এসে ঝুঁকি নিরসনের কাজ করবে।’
তিনি আরও জানান, ককটেলটি কী উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছিল তা এখনো নিশ্চিত নয়। ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

