বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ১২:২৯ পিএম

এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর খুলল প্যাসিফিকের ৮ কারখানা

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ১২:২৯ পিএম

প্যাসিফিক জিনস। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

প্যাসিফিক জিনস। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

অবশেষে সকল জল্পনাকল্পনা আর গুজবের অবসান ঘটিয়ে প্যাসিফিক জিনসের আট কারখানা খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একে একে চালু হতে শুরু করেছে পোশাক কারখানার কলকব্জাগুলো। 

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যথাসময়ে কাজে যোগ দিয়েছেন প্যাসিফিকের ৩৫ হাজারের বেশি শ্রমিক। শুধু তাই নয়, কারখানা খুলে দেওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

তাদের দাবি, প্যাসিফিকের উছিলায় কয়েক লক্ষ মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয়। কারখানাগুলো যদি বন্ধ হয়ে যেতো তাহলে এই মানুষগুলোকে পথেপথে ঘুরতে হতো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠকের পর কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালিকপক্ষ।

এর আগে ২১ অক্টোবর রাতে প্যাসিফিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর এক নোটিশে জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে ১৬ অক্টোবর থেকে কারখানার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবং অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ২৩ অক্টোবর থেকে কারখানা পুণরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবাইকে যথা সময়ে কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধও জানান তিনি।

নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিককে নির্ধারিত তারিখ এবং সময়ে নিজ নিজ বিভাগে উপস্থিত থেকে শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে উৎপাদন কার্যক্রম নির্বিঘ্নভাবে পরিচালনা করার জন্য সহায়তার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, প্যাসিফিক জিনস পোশাক শিল্প বড় একটি শিল্পগ্রুপ। প্রায় ৪০ হাজার মানুষ কারখানাগুলোতে কাজ করে। এর সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, শিপমেন্ট, পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি, কর্মসংস্থানসহ নানা বিষয় জড়িত।

এছাড়া ৩৫ হাজার শ্রমিক যদি বেকার হন তারা কোথায় কাজ পাবেন? এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও আশঙ্কা থাকে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কারখানাগুলো যাতে দ্রুত সময়ে খোলার ব্যবস্থা করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে প্যাসিফিক গ্রুপের কয়েকটি ইউনিটের শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। পরদিন তারা ইপিজেড এলাকায় বিক্ষোভ করেন। ১৬ অক্টোবর বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে।

এ অবস্থায় রাতে গ্রুপের পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯’ এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী সব ইউনিট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলো হলো, প্যাসিফিক জিন্স-১, প্যাসিফিক জিন্স-২, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, প্যাসিফিক অ্যাক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যারস, ইউনিভার্সেল জিন্স, এইচটি ফ্যাশন ও জিন্স ২০০০।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!