চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণাকালে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী–চান্দগাঁও) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সরোয়ার হোসেন বাবলা নামের এক ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’। এ ঘটনায় আরও ৩ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চাইলত্যাতলী এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ এরশাদ উল্লাহকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে চট্টগ্রামের বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। একই ঘটনায় সরওয়ার হোসেন বাবলা নামে আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই ব্যক্তি হঠাৎ ঘটনাস্থলে এসে সরওয়ার বাবলার বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় এবং এ সময় গুলির শব্দ শুনে নিরাপদে সরে যাওয়ার সময় বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর পায়ে গুলি লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনি প্রচারণায় হামলার খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।’
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, পূর্ব বিরোধের জের ধরে কারাগারে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘ছোট সাজ্জাদ’ গ্রুপের সদস্যরা সরওয়ার বাবলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বিএনপি প্রার্থীও গুলিবিদ্ধ হন।
নিহত বাবলার বিরুদ্ধে পাঁচটি খুনসহ অন্তত ১৮টি মামলা রয়েছে। ২০১১ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তিনি চট্টগ্রাম কারাগারে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান সরোয়ার হোসেন বাবলা। কারামুক্তির পর থেকে সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে বাবলাও চাঁদাবাজি, বালুমহাল ও এলাকা দখল নিয়ে খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়েন।
সরোয়ারের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে নগরীর বায়েজিদ থানা, পাঁচলাইশ থানা, চান্দগাঁও থানা এবং ডবলমুরিং থানায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এর আগেও কয়েক দফায় হত্যা চেষ্টা করা হয় বাবলাকে।


