ঢাকা রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাঁকখালী খাল উচ্ছেদ অভিযানে বাধার ঘটনায় আরও এক মামলা, আসামি ১০২৯

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
খাল উদ্ধার কার্যক্রমে সংঘর্ষের দিনে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করে সেনাবাহিনী। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী খালে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ার ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এতে জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও আইনজীবীসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১০০০ জনকে। এ নিয়ে তিনটি মামলায় প্রায় ১৬০০ জনকে আসামি করা হলো।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বিআইডব্লিউটিএ’র জেলা কর্মকর্তা খায়রুজ্জামান।

মামলায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাশেদুল হক রাশেদ, সিআইপি আতিকুল ইসলাম, আইনজীবী নেতা মনির উদ্দিন, পর্যটন উদ্যোক্তা হোছাইন আহমদ বাহাদুর, যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন বাচ্চু এবং জামায়াত নেতা ইমাম খায়েরসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০০ জনকে আসামি করা হয়।

এর আগে একই ঘটনায় আরও দুটি মামলা দায়ের করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত দায়েরকৃত তিনটি মামলায় মোট আসামির সংখ্যা প্রায় ১৬০০—বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান।

গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাঁকখালী খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ। অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যরা অংশ নেন। তবে খালের সীমানা নির্ধারণ না করে বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয়রা।

কস্তুরাঘাটের সব বৈধ ও অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়ার পর শহরের পেশকারপাড়া ও নুনিয়াছড়া এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ-র লোকজন বাধার মুখে পড়ে।

এ নিয়ে একাধিক সংঘর্ষ ও মামলার ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কক্সবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই খাল উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে প্রতিদিনই উত্তেজনা বাড়ছে। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়রাও এখন শঙ্কিত—কোথায় গিয়ে শেষ হবে এই উচ্ছেদ ও মামলার পাল্টাপাল্টি অধ্যায়।