জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশিদ বলেছেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দেশের মানুষ এদের থেকে মুক্তি চায়। মব ভায়োলেন্স, সন্ত্রাস, দখল বানিজ্য আর লুটপাটের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে দেশ। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। পরিণতি এমন দিকে যাচ্ছে শেখ হাসিনা হয়তো পালিয়ে বাঁচতে পেরেছেন, কিন্তু ড. ইউনূস পালানোর পথ পাবেন না। তাই সময় থাকতে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। দেশবাসী নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।’
রোববার (৭ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকার আব্দুস সালাম হল মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক আবুল হাসান আহমেদ জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংগঠনের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
কাজী মামুন বলেন, মব ভায়োলেন্সকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য দেশবাসী ড. ইউনূসকে ক্ষমতা দেয়নি। মানুষ বিশ্বাস করে না যে, তার নেতৃত্বে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তাই তার সময় সংক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। স্বেচ্ছায় ক্ষমতা হস্তান্তর করলে হয়তো জনগণ তাকে ক্ষমা করতে পারে।
তিনি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। মব ভায়োলেন্সকে প্রতিহত করতে হবে। বারবার জাতীয় পার্টি অফিসে মব সৃষ্টি করে হামলা করা হচ্ছে। আর এই সরকারের উপদেষ্টা তাতে উৎসাহ দিচ্ছেন। মব সৃষ্টিকারীদের বিচার করতে হবে।
জাতীয় যুব সমাজের সদস্য সচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পরিচিতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সুনীল শুভ রায়, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক, খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু, হাফসা সুলতানা, পীরজাদা সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ, সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ, কবি অধ্যক্ষ এম ইউনুস ফার্সি।
পরিচিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন: জিয়াউল হক জুয়েল, খোরশেদ আলম খুশু, আকরাম আলী শাহীন, ইদ্রিস আলী, সৈয়দ মোকাব্বির, আজমল হোসেন জিতু, মহসিন হোসেন রানা, আল আমিন, সাহিদুল ইসলাম সাকিল, মো. শরীফ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।