ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

ফরিদপুরে ‘বিক্রি হওয়া’ সেই শিশু উদ্ধার

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
মায়ের কোলে শিশু তানহা। ছবি-সংগৃহীত।

ফরিদপুরে মাকে দেখতে না দিয়ে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠা শিশু তানহা আক্তারকে উদ্ধার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)।
  
রোববার (১১ মে) বিকেলে শহরে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান ফরিদপুর র‍্যাব ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার।

র‍্যাব কর্মকর্তা জানান, নগরকান্দা উপজেলার রামপাশা এলাকায় পপি বেগমের (৩৭) সঙ্গে তার স্বামী মো. কাইয়ুম বিশ্বাসের (৪০) খোলা তালাক হয়। তার সন্তান তানহা আক্তারকে স্বামী মো. কাইয়ুম বিশ্বাস জোর করে রেখে দেয়।

পরবর্তীকালে পপি বেগম আনতে গেলে তানহাকে দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। পপি বেগম তার কন্যাশিশুকে উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করেন।
 
তিনি আরও জানান, তল্লাশি পরোয়ানা মূলে শিশু তানহাকে ফরিদপুরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে নগরকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত তিন বছর আগে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের হান্নান সরদারের মেয়ে পপি বেগমের সঙ্গে ফরিদপুরের রামপাশা গ্রামের কাইয়ুম বিশ্বাসের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকেই সংসারে নানা ঝামেলার একপর্যায়ে পপি বেগমের সঙ্গে কাইয়ুম বিশ্বাসের তালাক হয়ে যায়। এ সময় তার স্বামী মো. কাইয়ুম বিশ্বাস তাদের শিশুকন্যা তানহাকে জোর করে রেখে দেন। পরে পপি একাধিক বার মেয়েকে আনতে গেলে সাবেক স্বামী এতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় তিনি আদালতে মামলা করেন।

পপি গত বছরের ডিসেম্বরে ফরিদপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এতে সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ না থাকলেও জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।

পরে আদালত শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য ২৮ এপ্রিল নগরকান্দা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন। 

তবে মামলায় উল্লেখ না করলেও দেড় লাখ টাকায় শিশু তানহাকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিলেন শিশুটির মা পপি বেগম।