ফরিদপুরের সালথায় পাটের আঁশ ছাড়ানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চাষিরা নদীনালা ও খালবিলে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন। পানি কম থাকায় পাট কাটা ও জাগ দেওয়া নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। পাটে খরচের পরিমাণ বাড়লেও স্বপ্নের সোনালি আঁশ দেখে স্বস্তি ফিরে এসেছে চাষিদের মনে।
জানা যায়, এই উপজেলার মানুষের আয়ের প্রধান দুটি অর্থকরী ফসল হচ্ছে পাট ও পেঁয়াজ। পাট ও পেঁয়াজ চাষ করে অধিকাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন।
এ বছর এই উপজেলায় ১৩ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে চলছে পাট কাটা ও পাটের আঁশ ছাড়োনোর কাজ। এ বছর পাট উৎপাদনে চাষিদের অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। প্রথমদিক থেকেই ছিল না তেমন কোনো বৃষ্টি, সেচের মাধ্যমে বেড়ে ওঠে পাট গাছ। পাট কর্তনের শুরুতে ও পাট পচানোর সময় নেই তেমন পানি। অল্প কয়েকদিন ধরে নদীনালা ও খালবিলে কিছু পানি এসেছে। এই পানিতেই পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন চাষিরা।
উপজেলার পাটচাষি আবু মোল্যা ও সিরাজ মোল্যা নামে দুই পাটচাষি বলেন, ‘পাট কাটার সময় পানি কম ছিল। তাই পাট কেটে যানবাহনে করে খালে ও নদীতে পাট জাগ দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু পুকুরে পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া হয়। এতে করে খরচ বেড়ে গেছে। সেই তুলনায় পাটের দাম বাড়ানোর দাবি করছেন চাষিরা।’
উপজেলা উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা পারভেজ হোসেন বলেন, ‘প্রথমে বৃষ্টি না থাকায় পাটচাষিদের সেচ বেশি লেগেছে। আবার পাট কাটার সময় জমিতে পানি নেই। পাট কেটে অন্যত্রে নেওয়া লাগছে। সেই হিসেবে পাটের খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে। এখন পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে।’
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুদর্শন শিকদার বলেন, ‘এবার উপজেলায় ১৩ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাট আবাদের শুরু থেকেই চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখন চলছে পাট কর্তন ও পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ। এ বছর আবহাওয়ার কারণে সালথায় পাটের ফলন খুব বেশি ভালো হয়নি।’
আপনার মতামত লিখুন :