ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নের বাসিন্দারা আবারও বিক্ষোভ করেছেন। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ পুনরায় বন্ধ হয়ে গেছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকায় ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের প্রবেশপথ একযোগে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় ঢাকাগামী আল-আমীন পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল ও ভাঙ্গা-গোপালগঞ্জ মহাসড়কে মুনসুরাবাদ ও হামিরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রথম ধাপে অবরোধ শুরু হয়। জুমার নামাজের সময় আন্দোলনকারীরা সাময়িকভাবে সড়ক থেকে সরে গেলে দুপুর ১টার পর ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
তবে বিকেলে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুনরায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে পরিবর্তন করে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক ও স্বার্থবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে স্থানীয়রা সকাল থেকেই পুকুরিয়া, সোয়াদি ও মনসুরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় টায়ারে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ শুরু করেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকায় ফের অবরোধ শুরু করেছে স্থানীয় জনতা। এতে দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ আবারও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।’
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নতুন সীমানা নির্ধারণ অনুযায়ী আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সীমানা পরিবর্তনের ফলে তারা রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তারা দ্রুত আগের সীমানা পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়ে বলেন, প্রয়োজন হলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
বর্তমানে পুলিশ ও প্রশাসনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।