গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দুই নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৩। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি লতিফ মিয়া এখনও পলাতক রয়েছেন।
বুধবার (২ জুন) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকার কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: সাত্তার আলী, আকতারুল মিয়া, মোছা. মনি বেগম, মতলব আলী এবং লতিফুর বেগম। তারা সবাই সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের কছিমবাজার এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের কছিমবাজার গ্রামের লতিফ মিয়ার সঙ্গে পাশের গ্রামের জনতা বেগমের প্রায় ১১ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই লতিফ মিয়া স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন।
এর জেরে ১০ জুন রাতে লতিফ মিয়া স্ত্রী জনতা বেগমকে বাড়ির পাশের একটি নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে হাত-পা বেঁধে ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায় সে।
পরদিন সকালে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় জনতা বেগমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। নিহতের ভাই শহিদ মিয়া ১১ জুন সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১৩-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সুন্দরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পলাতক মূল আসামি লতিফ মিয়াকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত।