রাজধানীর কদমতলীর জুরাইন এলাকায় মাদককারবারিদের গুলিতে আহত মো. শাহীন বেপারী (২৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ২২ মিনিটে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে তার মৃত্যু হয়। শাহীন পেশায় একটি ফার্নিচারের দোকানের কর্মী ছিলেন।
নিহত শাহীন শরীয়তপুরের পালং থানার দক্ষিণ কেবরনগর গ্রামের সিরাজ বেপারীর ছেলে। তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া এলাকায় পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন।
ঘটনার পর শাহীনের বড় ভাই সাদ্দাম কদমতলী থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, গত ২২ নভেম্বর মাদককারবারিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে শাহীনকে ডেকে নিয়ে মাথায় গুলি করে। গুলি ছুড়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা চান মিয়া ওরফে চানু (৩৯) এবং মো. জহির (৩৭) নামে দুজনকে ধরে গণধোলাই দেয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—বাবু (৪১), ইব্রাহিম (৪০), রুবেল ওরফে প্লে রুবেল (৩৮), মাসুদ (৩৫), বাবু ওরফে নাক কাটা বাবু (২৭), শান্ত (৪০), হিরা (৪০), স্বপন (৩৫), শাওন ওরফে চাপাতি শাওন (৩৫), আলামিন (২৫), মনির ওরফে গুটি মনির (৩৮), হাসান (৩৭) ও শাহিন (৩২)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ২২ নভেম্বর শাহীনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি কদমতলী থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

