পৌরসভার সরবরাহকৃত পানির লাইন থেকে সম্পূর্ণ ঘোলা পানি বালতির মধ্যে পড়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সকালে এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পৌর এলাকার সরদারপাড়া গ্রামে। আর পাল্টা ফেসবুক পোস্টে সাফাই গেয়েছেন পৌরসভার পানি শাখার কম্পিউটার অপারেটর।
ঐদিন সকাল ১০টায় ফেমাস রহমান নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার নিজস্ব আইডিতে ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এটা আজকের দৃশ্য, এটা মাঝেমধ্যেই হয়। কতজন এলো-গেল, পৌরবাসী ঠিকমতো পানির সুবিধাটা পেল না।’
ফেমাস রহমান টুঙ্গিপাড়া পৌর এলাকার সরদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভিডিওটি পোস্ট করার পর মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পোস্টটিতে নানানরকম মন্তব্য আসতে থাকে।
মোরসালিন তালুকদার পোস্টটিতে রসিকতা করে লেখেন, ‘ভাই দুধ চা হলে বিক্রি শুরু করে দেন।’
মো. নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘আরে ভাই তাও তো আসে, আমার বাড়িতে তো তাও আসে না। শুধু শুধু ৩০০ টাকা পানি বিল দিয়ে লাভ নাই, ভাবছি লাইনটা কেটে দেব।’
এদিকে পোস্ট করা ভিডিওটি ভাইরাল হলে পাল্টা পোস্টে সাফাই গেয়ে ব্যাখা দিয়েছেন টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার পানি শাখার কম্পিউটার অপারেটর সাইফুজ্জামান আরিফ।
তিনি তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার টুঙ্গিপাড়া, পাঁচ কাহানিয়া, কেড়ালকোপা ও সরদারপাড়া এলাকায় পাইপ লাইন ওয়াশ করার কারণে লাইনে সাময়িকভাবে ঘোলা পানি যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কাউকে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।’
পোস্টের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেমাস রহমান বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় অনেক মেয়র ও প্রশাসক এলো-গেল; কিন্তু পৌরবাসীর পানির কষ্ট দূর হলো না। আর আগামীতেও হবে কি না সন্দেহ! পৌরবাসীর দাবি দ্রুত পানির সমস্যা দূর হোক।’
পৌরসভার পানি শাখার কম্পিউটার অপারেটর সাইফুজ্জামান আরিফ বলেন, কিছু এলাকার নতুন পানির লাইন পরিস্কার কাজ চলমান থাকায় ঘোলা পানি আসতে পারে।
এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া পৌর প্রশাসক ফারজানা আক্তারের হোয়াটসঅ্যাপে কল দিলেও তিনি ধরেননি। আর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিনুজ্জামান ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে জানেন না জানিয়ে মুঠোফোনে বলেন, যদি কোনো গ্রাহক দীর্ঘদিন পানির লাইন ব্যবহার না করে তাহলে ঘোলা পানি আসতে পারে।


