ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

অর্ধকোটি টাকার সেতুতে নেই সংযোগ সড়ক, জনদুর্ভোগ চরমে

কামরুজ্জামান লিটন, সরিষাবাড়ী (জামালপুর)
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চর আদ্রা গ্রামে রাস্তা ছাড়াই নির্মিত হয়েছে সেতু। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চারদিকে সবুজে ঘেরা মাঠ, নেই কোনো বাড়ি-ঘর। শুধু তাই নয়, নেই যাতায়াতের রাস্তাও। এর মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু। যার দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার। সড়ক না থাকায় এই সেতুটি এখন ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এমন সেতুর দেখা মিলেছে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মাঠে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ওই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। 

উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চররৌহা, আকন্দপাড়া, মাজারিয়া ও খামার মাগুরা গ্রামসহ সীমান্তবর্তী আরও কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন ফসলের মাঠের আইল দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। 

বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও সাধারণ পথচারীরা কাদা ও অসমতল জমির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। কৃষিপণ্য পরিবহন ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতেও সৃষ্টি হয়েছে নানা বিড়ম্বনা।

স্থানীয়রা জানান, সেতুটি নির্মাণের খবরে তারা আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন যে, অবশেষে যাতায়াতের কষ্ট লাঘব হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও সেতুটির সঙ্গে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেটি কোনো কাজেই আসছে না।

দ্রুত সড়ক নির্মাণ করে এই সেতুটি ব্যবহারযোগ্য করার দাবি স্থানীয়দের। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসানুর কবীর স্বপন জানান, ব্রিজের দুই পাশে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।

এলাকাবাসীর পক্ষে মাসুদ মিয়া দ্রুত সড়ক নির্মাণ করে সেতুটি জনগণের ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন বলেন, ‘সেতু নির্মাণ শেষ হয়েছে। তবে সংযোগ সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের। তবুও আমরা বিষয়টি তাদের জানিয়েছি।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী শওকত জামিল জানান, ‘ব্রিজের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরও ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে অচিরেই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে ব্রিজটি ব্যবহার উপযোগী করা হবে।’