শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০১:১৫ পিএম

কেশবপুরে ৭০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে প্লাবিত

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০১:১৫ পিএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

যশোরের কেশবপুরে বন্যার পানিতে ৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্কুলের শ্রেণি কক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে শ্রেণি কার্যক্রম। অন্যত্র ক্লাস নিচ্ছেন অনেক প্রতিষ্ঠান। এ কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া দারুণ ভাবে ব্যহত হচ্ছে। খেলার মাঠে বন্যার পানি থই থই করায় শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে লেখাধুলা থেকেও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে ৩৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি কলেজ, ৩১টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪টি মাদ্রাসা প্লাবিত হয়েছে। সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও নদ নদীর উপচে পড়া পানিতে কেশবপুর পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নের ১০৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক স্কুলের শ্রেণি কক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় ক্লাস নিতে হচ্ছে অন্যত্র। বন্যার কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী প্রাথমিকের ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ণ পরীক্ষা দিতে পারেনি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, সম্প্রতি বন্যায় তাদের ৩৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে।

কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় ব্রম্ম বলেন, তার বিদ্যালয়টি প্রায় দুই মাস বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে। স্কুলের সব শ্রেণী কক্ষে পানি থাকায় পাঠদান বন্ধ আছে। শুধু মাত্র অফিস কক্ষে নির্বাচনী পরিক্ষা নেয়া হচ্ছে। স্কুলের মাঠের মধ্য দিয়ে ১৫০ ফুট বাঁশের সাকো তৈরী করা হয়েছে। এই সাঁকো দিয়েই শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরা অফিস কক্ষে যাতায়াত করছে। স্কুলের মালামাল ও শৌচাগার  বন্যার পানিতে ডুবে রয়েছে। বন্যার পানি নিস্কাশনের জন্য সব জায়গায় আবেদন করেছেন জানান তিনি। 

উপজেলা রাজনগর বাঁকাবর্শী মোড়লপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, বন্যার পানি স্কুলের ৩টি শ্রেণি কক্ষে ঢুকে পড়ায় ক্লাস নিতে হচ্ছে অন্যত্র। স্কুলের পাশে মকবুল হোসেনের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। শ্রেণি কক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির অনেক শিক্ষার্থী দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ণ পরীক্ষা দিতে পারেনি। উপজেলার সুজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা খাতুন জানান, প্রায় ১ মাস ধরে তার স্কুলের মাঠে পানি জমে রয়েছে। ভবনের নিচ তলার ২টি শ্রেণি কক্ষে পানি ঢুকে যাওয়ায় শ্রেণি কার্যক্রম উপরের তলায় চালানো হয়। এতে পাঠদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে। 

উপজেলা মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান বলেন, স্কুলের মাঠে বন্যার পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছে। উপজেলার মধ্যকুল মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসার শ্রেণি কক্ষে পানি ঢুকে যাওয়ায় শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি লিখিত ভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে সূত্র জানায়, কেশবপুরে ১টি সরকারি ডিগ্রি কলেজ, ৩১টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪টি মাদ্রাসার মাঠে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে পানি উঠে আসায় লেখাপড়াও ব্যহত হচ্ছে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম জিল্লুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, প্লাবিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বন্যার পানিতে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে তালিকা করে বরাদ্দ চেয়ে অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রব বলেন, ৩৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। স্কুলের মাঠ উঁচু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে হরিহর, বুড়িভদ্রা ও আপারভদ্রা নদীর পলি অপসারণে খনন কাজ চলছে। দ্রুত পানি নিস্কাশন হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!