শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম

শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির কথা বলে ৮৪ লাখ টাকা মেশিনে গুনে নেন এমপি

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম

সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকদলাদার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকদলাদার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকদলাদারসহ ৪ জনের নামে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই টাকা আসামিরা মেশিনে গুনে গুনে নেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি করেন শহীদ লে. মাসুদ মেমোরিয়াল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমান।

মামলার অন্য তিন আসামি হলেন শাহীন চাকলাদারের পিএস শাহপাড়া রোডের আলমগীর সিদ্দিকি টিটো, তার স্ত্রী শামীমা পারভিন রুমা ও মাগুরখালী গ্রামের মৃত সোবহান গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, শাহীন চাকলাদার এমপি থাকাকালীন সময়ে অন্য আসামিরা একত্রিত হয়ে নানা ধরনের অপকর্ম করতেন। নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, এমপিওভুক্তকরণসহ বিভিন্ন সুবিধা টাকার বিনিময়ে করতেন তারা। সে সময় বাদী মাসুদ মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ও রেজাকাটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। সেই সুবাদে ওই দুই প্রতিষ্ঠানের নানা ধরনের সুবিধা গ্রহণের জন্য আসামিদের সঙ্গে কথা হয়। 

তারা জানান, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কলেজের স্নাতক ও বিএমপি শাখার এমপিও আদেশ করিয়ে দেওয়া এবং কলেজের কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষকদের এমপিও ছাড় করিয়ে দেওয়ার জন্য তাদেরকে ৬৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া স্কুলের মাধ্যমিক শাখার এমপিও আদেশ করিয়ে দেওয়ার জন্য আরও ২০ লাখ টাকা দাবি করেন।

বাদী পরে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে রাজি হন এবং তাদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেন। ২০২০ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ৩০ আগস্টের মধ্যে আলমগীর সিদ্দিকি টিটোর বাড়িতে বসে শাহীন চাকলাদারসহ আসামিদের হাতে দফায় দফায় ওই টাকা দেওয়া হয়, যা আসামিরা মেশিন দিয়ে গুনে গ্রহণ করেন এবং পরে শাহীন চাকলাদার তা গ্রহণ করেন।

২০২১ ও ২০২২ সালের মধ্যে কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আসামিরা। কিন্তু যথাসময়ে কাজগুলো করে দিতে ব্যর্থ হন। পরে আসামিদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নানা ধরনের টালবাহানা করেন। একপর্যায়ে তারা জানিয়ে দেন—ওইসব কাজ আর হবে না।

বাদী এরপর মন্ত্রণালয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, ওই চারজন সব টাকা ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন। কিন্তু মামলা ও হামলার ভয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাননি তিনি।

এর মাঝে গত ২০ জুন টিটো ও তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ওই টাকা ফেরত চাইলে তারা জানান, টাকা ফেরত দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসছে—এই বলে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখান। বাধ্য হয়ে বাদী আদালতে এ মামলা করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী তাহমিদ আকাশ। তিনি জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আঞ্জুমান আরা বেগম অভিযোগটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

Shera Lather
Link copied!