যশোরের শার্শায় চাঁদা না পেয়ে কৃষকের বাড়ি ভাঙচুর ও বোমা হামলার ঘটনার মূল হোতা শহিদুল ইসলাম তোতাকে (৩৮) আটক করেছে শার্শা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাম তোতাকে আটক করে পুলিশ।
আটক তোতা শার্শার কন্দপপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম সরদারের ছেলে ও আর্মড পুলিশের বহিষ্কৃত একজন সদস্য। তার বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন, বাড়ি ভাঙচুর, বোমা হামলা, ঘরে ও প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়াসহ মানুষের জমি দখল, ঘের দখল, লুটসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, গত ৫ আগস্টের পর কাউকে তোয়াক্কা না করে কন্দপপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম তোতা ও তার বড় ভাই আসাদুলের নেতৃত্বে কন্দপপুর গ্রামের শাহীন, কবির, আক্তারুল, সম্রাট, আবুজার, আলম, মোহাম্মদ আলী, মাহাবুবুরসহ আরও ১০/১৫জন একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করে এসব অপকর্ম পরিচালনা করে আসছে। এই গ্রুপের কাছে একাধিক দেশি ও বিদেশি অস্ত্র , রামদা, চায়না চাকু, হকিস্টিক থাকায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। কারণ যারা প্রতিবাদ করে তাদেরকে ধরে পাশ্ববর্তী হাজরাতলা নামক শ্বশানে নিয়ে অত্যাচার করা হয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, দীর্ঘদিনের এমন ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে বুধবার (২৩ জুলাই) এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। এ অভিযোগের ভিত্তিতে শার্শা থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম তোতাকে আটক করে পুলিশ। তোতা আটক হওয়ার পর অন্য অপরাধীরা গা-ঢাকা দিয়েছে বলে তারা জানান।
নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা জানান, শার্শার শীর্ষ এক নেতার ইন্ধনে এসব অপরাধীরা তাদের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে এদের লাগাম না টানলে দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন ও দলের অনেক ক্ষতি হবে বলে দাবি তোলেন।
তারা আরও জানান, গত ২৩ জানুয়ারি নিজামপুর ইউনিয়নের কন্দপপুর গ্রামের ওই ১০ জন বিএনপি কর্মী ও নেতৃবৃন্দকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও তার কোনো কার্যকর হয়নি। যশোর জেলা বিএনপির সে সময়ের সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু এতে স্বাক্ষর করেন। এসব বহিষ্কৃত সন্ত্রাসীরা শার্শার কোন নেতার নেতৃত্বে চলছেন তা তদন্ত করে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপি।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম জানান, আটক শহিদুল ইসলাম তোতাসহ তার ভাই আসাদুলের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে কন্দপপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে।
তিনি বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং পালিয়ে থাকার কারণে অপরাধীদের আটক করা যায়নি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে বোমা হামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়ায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাম তোতাকে আটক করা হয়েছে। বাকি অপরাধীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 
                             
                                    

 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                    -20251031233315.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                    -20251031164732.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন