রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম

শার্শার ঠেঙামারী বিল: কচুরিপানার আড়ালে হাজার বিঘা চাষের জমি

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম

কচুরিপানায় ঢেকে আছে হাজার বিঘা চাষের জমি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কচুরিপানায় ঢেকে আছে হাজার বিঘা চাষের জমি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

যশোরের শার্শা উপজেলার ঠেঙামারী বিলে নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিলে কচুরিপানা ও জলাবদ্ধতার কারণে এবছরও হাজার হাজার বিঘা জমি পতিত থাকার আশংকা রয়েছে। এ কারণে বোরো ধান রোপণ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

ঠেঙামারী বিলে এখন মাঠভর্তি কচুরিপানা। যা পরিষ্কার করা দুরুহ ব্যাপার। কৃষকদেরও মাথায় হাত। ইরি বোরো মৌসুম আগত। নভেম্বরের শেষের দিকে বীজতলা তৈরির সময়। এখনো বিলভর্তি পানি রয়েছে। কবে নামবে বিলের পানি কেউ জানে না। সেই সাথে মাঠজুড়ে কচুরিপানা। জমিতে পা ফেলানোর জায়গা নেই। শার্শা সীমান্তের ভারতের ইছামতি নদীর পানি এখনো প্রবেশ করছে বিলে। মাঠে কীভাবে ধান চাষ করবে বোরো মৌসুমে এই চিন্তায় অস্থির চাষিরা। বিলে এখনো ৫ থেকে ৭ ফুট পানি জমে রয়েছে।

স্থানীয়রা কচুরিপানা পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। শনিবার বিকেল থেকে তারা বিল পরিষ্কার করার জন্য ভাড়ায় অন্য উপজেলার থেকে কচুরিপানা কাটার মেশিন এনেছেন। মেশিনের সাহায্যে কচুরিপানা কেটে জমি পরিষ্কার করার চেষ্টা করছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, এবছর বিলে এবং খালে যে পরিমাণ কচুরিপানা জমে রয়েছে তাতে বোরো ধান লাগানোর কোনো সম্ভাবনাই তারা দেখছেন না। কচুরিপানা পরিষ্কার করতে অনেক টাকা ব্যয় হবে। কিন্তু এত টাকা ব্যয় করে যদি সময়মতো বিলের পানি না নামে। তাহলে সমস্ত টাকাটাই বিফলে যাবে।

স্থানীয় কৃষক নায়েব আলী জানিয়েছেন, মেশিনে এক বিঘা জমির কচুরিপানা পরিষ্কার করতে সর্বনিম্ন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ পড়বে। আর এই কচুরিপানা রাখতে দুই কাঠা জমি ফেলে রাখতে হবে।

কৃষক আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন, মাঠে কচুরিপানা পরিষ্কার করা মেশিন আনা হয়েছে। যদি এতে খরচ কম হয় ও সহজে পচে নষ্ট হয় তা হলে তারা কচুরিপানা কাটা মেশিন দিয়ে জমি পরিষ্কার করবেন। তিনি আরও বলেন, এতো কিছুর পরেও ধান না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কয়েকজন কৃষক জানান, আমরা ঠেঙামারী বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই স্থায়ী সমাধান চাই। শুনেছি সরকার খাল সংস্কার ও গেট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। যদি বাস্তবায়ন হয় তা হলে মাঠে ফসল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হোসেন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত এ সমস্যায় জর্জরিত। সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। ভারতীয় ইছামতি নদীর পানি এসে মাঠের পাশাপাশি বাড়িঘর প্লাবিত হয়ে যায়। খালের পানি বের করার কোনো ব্যবস্থা নেই। শুনেছি সরকারিভাবে খাল সংস্কার ও দাউদখালী খালমুখে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এলাকার সমস্যার সমাধান হবে কি না বলা যাচ্ছে না।

একই কথা জানান শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের সমস্যা এটা। বছরের বেশির ভাগ সময় ভারতীয় পানিতে খালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কয়েকবার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাল সংস্কার ও দাউদখালী খালমুখে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এলাকার সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে বলে তিনি জানান।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!