রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম

জিপিএ-৫ পেয়ে পড়তে চায় ঢাবিতে, বিয়ে বন্ধ করল ইউএনও 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম

বাল্যবিয়ে ঠেকান (ইউএনও)।   ছবি- সংগৃহীত

বাল্যবিয়ে ঠেকান (ইউএনও)। ছবি- সংগৃহীত

সপ্তাহখানেক আগেই এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার এক মেধাবী ছাত্রী। কিন্তু অভাবের কারণে পরিবার তার বিয়ের আয়োজন করে। 

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে সেই বিয়ে ঠেকিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসনে আরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। বাবা পেশায় কাঠমিস্ত্রি, কাজ পেলে দিনে প্রায় ৫০০ টাকা আয় করেন, না পেলে নেই। বাবার মাসে গড়ে আয় ৯-১০ হাজার টাকার বেশি নয়।

জানা যায়, মাত্র চার শতাংশ জমিতে টিনের ঘর তুলে পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে কোনোরকমে জীবন যাপন করছেন তারা।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালানো সম্ভব নয় বলেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’

ছাত্রীর মা বলেন, ‘কীভাবে মেয়েকে সামনে পড়াতে পারব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এমন সময় এক ঘটক ছেলের প্রস্তাব দেয়, আমরা রাজি হই।’

তবে ইউএনও হোসনে আরা জানান, ‘ছাত্রীটির বয়স এখনো বিয়ের উপযুক্ত হয়নি। সে খুব মেধাবী এবং ঢাকায় পড়তে চায়। তার স্বপ্ন যেন ঝরে না পড়ে সেজন্যই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বিয়ে বন্ধ করেছি এবং নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি।’

ভুক্তভোগী ছাত্রী জানায়, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে চাই। এরপর একটি সরকারি চাকরি করে পরিবারকে স্বচ্ছল করতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

এ বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ৭৩.৬৯ শতাংশ। সেখানে মোট ১৫ হাজার ৪১০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে মানবিক বিভাগে মাত্র ১,৩৭৪ জন, যাদের মধ্যে ছাত্রী ১,১৩০ জন। এই অল্পসংখ্যক মেধাবীদের একজন এই ছাত্রী।

তার বাবা আরও বলেন, ছোটবেলা থেকেই মেয়ে লেখাপড়ায় খুব মনোযোগী। অভাবের কারণে একসময় মাদ্রাসায় ভর্তি করা হলেও পরে সে নিজেই স্কুলে ফিরে আসে। এসএসসি পরীক্ষার আগে অঙ্ক ও ইংরেজি বিষয়ে টিউশন করতে চেয়েছিল, কষ্ট করে হলেও সে টাকা জুগিয়েছিলেন বাবা।

বর্তমানে মেয়ে যেন পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, সে চেষ্টাই এখন প্রধান বিষয় বলে জানিয়েছেন ইউএনও। তিনি বলেন, ‘সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনোভাবে সহযোগিতা পাওয়া গেলে মেয়েটি নিশ্চয়ই তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।’

Shera Lather
Link copied!