জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে অসময়ের বৃষ্টিতে কৃষকের পাকা আমন ধান ও আগাম জাতের রোপন করা আলুর ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গত তিনদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে কৃষকের পাকা আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
গত শুক্রবার-শনিবারে অসময়ে বৃষ্টি হলে জমিতে পানি বেধে থাকে। অপরদিকে বৃষ্টির সাথে সাথে হালকা বাতাস হওয়াই ধানগুলো জমিতে নুইয়ে পড়ে এবং পানিতে ভাসতে থাকে।
অনেক কৃষক গত বছরের আলুর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভাল দামের আশায় আগাম জাতের আলু রোপন করেন। কিন্তু এই বৃষ্টিতে কৃষকের সে আশায় গুড়েবালি। পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার আগে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পরেছেন।
উপজেলার ধরঞ্জী, রতনপুর, আটাপাড়া, নওদা, আয়মারসুলপুর সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আধা-পাকা এবং পাকা ধানগাছ গুলো মাটিতে শুয়ে পড়েছে। অধিক নিচু জমিতে বৃষ্টির পানি জমেছে এবং সেই পানির মধ্যে পাকা ধানের শীষগুলো ডুবে আছে। আবার অনেক জমির আগাম রোপন করা আলু পানিতে ভাসছে।
এছাড়াও পিয়াজ, মুলা, পালং শাক, লাল শাক সহ আগাম শীতকালীন শাক-সবজি ও রবিশস্যরও ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাস বলেন, আমার তিন বিঘা জমির ধান পেকেছে। তিন চার দিনের মধ্যে ধানগুলো কাটা শুরু করতাম। পানিতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।
একই গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, ভাল দামের আশায় ১০ কাটা জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছিলাম। এখন সেই জমিতে হাটু পানি। আমার আশা গুড়েবালি।
উপজেলার রতনপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মিরাজুল ইসলাম আকুল বলেন, কয়দিনের বৃষ্টি ও বাতাসে মাঠের নিচু এবং রাস্তার পাশের জমিতে পানি জমে ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া শীতকালীন সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, জমিতে নুয়ে পড়া ধানের গাছগুলো গোছা করে বেঁধে দিতে হবে এতে ক্ষতি কিছুটা কমবে।
তিনি আরো জানান, যেসব জমিতে বৃষ্টির পানি জমেছে দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে হবে।


