বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম

মেরামতের অভাবে আক্কেলপুর রেলগেট এখন দুর্ঘটনার হটস্পট

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম

রেললাইন সংস্কারের অভাব। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রেললাইন সংস্কারের অভাব। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সদর সড়কের রেলগেটটি মেরামতের অভাবে এখন দুর্ঘটনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে রেললাইন সংস্কারের সময় সড়কের পাকা অংশ তুলে ফেলার পর থেকে রেলগেটের মাঝের উঁচু-নিচু অংশটি আর সমান করা হয়নি। এতে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন যানবাহনচালক ও যাত্রীরা।

স্থানীয় ভ্যানচালক মুমিনুল হক জানান, ‘রেল সংস্কারের সময় সড়কের পাকা অংশ তুলে ফেলার পর থেকে ছোট যানবাহন উল্টে যাওয়া, যাত্রী আঘাত পাওয়া এগুলো নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে অসুস্থ রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় এই ঝাঁকুনিতে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’

অটোভ্যানচালক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘রেলগেটের দু’পাশের রাস্তা ভালো, কিন্তু রেলের অংশটি উঁচু-নিচু থাকায় গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিন ২০টির বেশি ট্রেন চলাচলের সময় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। তখন যানবাহনের ধাক্কাধাক্কি, পথচারীর আহত হওয়া, বাস-ট্রাক আটকে যাওয়া এসব নিয়মিত দৃশ্য।’

পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা ও সাংবাদিক ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা বলেন, ‘আক্কেলপুর রেলগেট একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। প্রতিদিন এখান দিয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় অর্ধ লাখ মানুষ চলাচল করেন। রেলগেটের উঁচু-নিচু অংশ দুর্বল যাত্রীদের জন্য আরও দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। দ্রুত রাস্তা সমান করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবিদা খনম বৈশাখী জানান, ‘রাস্তা সংস্কারের সময় সড়ক উঁচু করা হয়েছিল। রেলের অংশে পাকা তোলা থাকায় যে উঁচু-নিচু সৃষ্টি হয়েছে, তা পথচারীদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানানো হবে।’

আক্কেলপুর রেল স্টেশন মাস্টার খাতিজা খাতুন বলেন, ‘উঁচু-নিচু অংশে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে মাছবাহী গাড়ির পানি পড়ে রাস্তাটি আরও নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কয়েকবার ইটের খোয়া দিলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। এক স্থানে রেললাইন উঁচু করা যায় না। ডবল রেললাইন নির্মাণের সময় সমাধান হওয়ার কথা রয়েছে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!