ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনীতি শুরু হয়েছে চোরের খনির মাধ্যমে: আকন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন—সবাই পেয়েছে সোনার খনি, তেলের খনি, আর আমি পেয়েছি চোরের খনি। বাংলাদেশের রাজনীতি শুরু হয়েছে চোরের খনির মাধ্যমে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৩ সালে ভোট চুরির মধ্য দিয়ে এই রাজনীতির সূচনা। এরপর শুরু হয় সম্পদ চুরি। সেই চোরের খনি থেকেই সরকার গঠনের পথ তৈরি হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাপ চোরের খনি আবিষ্কার করেছিলেন, আর মেয়ে শেখ হাসিনা ডাকাতের খনি আবিষ্কার করেছেন।’

আকন অভিযোগ করে বলেন, ‘জনগণের টাকা, কৃষক-শ্রমিকের অর্থ লুণ্ঠন করে ২৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। হাসিনার একজন পিয়নও এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। কিন্তু এই স্বপ্ন আর থাকবে না। দেশের জনগণ এই ক্ষমতার দম্ভ চূর্ণ করে দেবে।’

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় লক্ষ্মীপুর শহরের লিল্লাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে। রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে দক্ষিণ তেমুহনীতে গিয়ে শেষ হয়।

আশরাফ আলী আকন বলেন, ‘তিনটি মৌলিক বিষয়ের বাস্তবায়নের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি—সবাই একসাথে কাজ করছি। ৫৩ বছরে যারা বাংলাদেশকে জঞ্জালে পরিণত করেছে, সেই জঙ্গল পরিষ্কার করে আমরা একটি কল্যাণরাষ্ট্র গড়তে চাই।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সেক্রেটারি মো. ইমরান হোসাইন নূর ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল কে. এম. বিল্লাল হোসাইন। সঞ্চালনায় ছিলেন মাওলানা ইউসুফ আল মাহমুদ।

আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির এসইউএম রুহুল আমীন ভূঁইয়া, সেক্রেটারি এআর হাফিজ উল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের সহসভাপতি মহিউদ্দিন, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি লোকমান হোসাইন, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি নূর মোহাম্মদ, হেফাজতে ইসলাম জেলা প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি নাছির আহমেদ, যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মোখলেছুর রহমান এবং ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুহাম্মদ ইউনুস খান।