বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জামাল উদ্দিন বাবলু, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম

সবুজের মাঝে মনোমুগ্ধকর ‘বাইতুল মামুর মসজিদ’

জামাল উদ্দিন বাবলু, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম

বাইতুল মামুর মসজিদ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বাইতুল মামুর মসজিদ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

প্রত্যন্ত গ্রামে সবুজ প্রকৃতির মাঝে নজর কাড়ে একটি ভিন্ন আদলে গড়া ‘বাইতুল মামুর মসজিদ’। মসজিদটি টানেল সদৃশ হওয়ায় এটি পরিচিতি পেয়েছে ‘টানেল’ মসজিদ নামে। এর নান্দনিক নির্মাণশৈলী মনোমুগ্ধ করেছে সবাইকে। যেন সবুজে ঘেরা প্রকৃতির মাঝে এক অপূর্ব সৌন্দর্যের নিদর্শন। 

বাইতুল মামুর মসজিদটি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে অবস্থিত। একই গ্রামের শিল্পপতি ফরহাদ হোসেন নেহাল চৌধুরী মসজিদটি নির্মাণ করেছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মসজিদটির মাত্র ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। পরিপূর্ণ হতে এখনো অনেক সময় বাকি। এর মধ্যেই মসজিটি সৌন্দর্যে বিভর মুসল্লি ও দর্শনার্থীরা। স্থানীয় মানুষজনও ব্যাপক খুশি, কারণ দূর-দূরান্তের মানুষজন তাদের গ্রামে ছুটে আসছেন মসজিদটি দেখার ও এখানে নামাজ আদায়ের জন্য। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, শিল্পপতি নেহাল চৌধুরী ২০২১ সালে মহাদেবপুর গ্রামে তার বাড়ির সামনে মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। রাজধানীর একটি প্রতিষ্ঠান এর ডিজাইন করেন। এখনো পর্যন্ত মসজিদের ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, তবে পুরো কাজ শেষ হতো সময় লাগবে। পুরো কাজ শেষ হলে এর সৌন্দর্য বাড়বে বহুগুণ। তবে এখনি এখানে দলবেধে মুসল্লিরা আসেন নামাজ আদায় করতে। চারপাশে সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা মসজিদটিতে এক সঙ্গে ৪০০ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। ভিম ও কলাম ছাড়াই মসজিদটি আরসিসি ঢালাইয়ে টালেন আকৃতিতে নির্মাণ করা হয়েছে।

বাইতুল মামুর মসজিদ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দেওয়ালের পরিবর্তে এর পশ্চিম ও পূর্ব পাশে গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। দুই পাশে লম্বা জানালা রয়েছে। দুপুর বেলা পুকুরে মসজিদটির অপূর্ব প্রতিবিম্ব দেখা যায়। রাতে মসজিদের ভেতরের লাইটের আলো জ্বলে উঠলে এর সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে উঠে। একইসঙ্গে সামনের পুকুরের পানিতে মসজিদটির প্রতিফলনের চিত্র ফুটে উঠে। তখন মনে হয় এটি অপূর্ব শিল্পকর্ম। এমন স্থাপনা আশপাশে কোথাও দেখা যায়নি। 

স্থানীয়রা জানান, কোনো ভীম বা কলাম নেই। দুই স্তরের রড দিয়ে নিচ থেকে ৫০ ইঞ্চির ঢালাই থেকে ওপর দিকে ১০-১৫ ইঞ্চির ঢালাই দেওয়া হয়েছে। আলো-বাতাসের জন্য ওপরেও গ্লাস দিয়ে জানালা দেওয়া হয়েছে। এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। এর মধ্যেই মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসেন। খোলামেলা পরিবেশে এটি ব্যতিক্রম স্থাপনা। 

মসজিদটি দেখতে আসা ফয়সাল মাহমুদ ও মেহেদী মাসুম নামে দুইজন কলেজ ছাত্র রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, শুনেছি এখানে অসাধারণ একটি মসজিদ নির্মাণ হয়েছে। অনেক দুর থেকে এসেছি দেখার জন্য। এসে আছর ও মাগরিব নামাজ আদায় করছি। ভিতরের কারুকাজ এবং বাহিরর দৃষ্টিনন্দন সব মিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা তোফায়েল আহমেদ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, এখানে ছোট্ট একটা পুরনো মসজিদ ছিলো। পরে এলাকার শিল্পপতি নেহাল চৌধুরী ও তার ভাই মসজিদটি ভাঙার উদ্যোগ নেয় নতুন করে করার জন্য। ঢাকা থেকে ইন্জিনিয়ার আনা হয়। সবার দাবি ছিলো আনকমন একটি মসজিদ তৈরি করা হোক। ২০২১ সালে নেহাল চৌধুরী এ মসজিদটি নির্মাণ করান। নির্মাণ হওয়ার পর থেকে অনেক দূর থেকে মানুষজন এসে সৌন্দর্য দেখে ও নামাজ আদায় করে। আমাদের এ মহাদেবপুর গ্রামটি এখন অনেকের পরিচিত। 

বাইতুল মামুর মসজিদ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, এ মসজিদটি টানেল আকারে করা হয়েছে। করার পর থেকে দূর-দূরান্ত থেকে এসে অনেক মুসল্লি নামাজ আদায় করছে এবং মসজদের সৌন্দর্য দেখছেন। 

মসজিদ কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুরাদ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, মসজিদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ৬০ শতাংশ কাজ হয়েছে, এখনো ৪০ শতাংশ কাজ বাকি আছে। মসজিদটির সম্পন্ন কাজ শেষ হলে সৌন্দর্যের দিক দিয়ে অন্যতম হবে। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসে মসজিদটি দেখতে।

Link copied!