শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০১:০১ পিএম

কন্যা সন্তান বিক্রির চেষ্টা বাবার, স্ত্রীর কান্নায় রক্ষা

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০১:০১ পিএম

তিস্তা চরাঞ্চলের ঋণগ্রস্ত কৃষকের সন্তান বিক্রির চেষ্টা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

তিস্তা চরাঞ্চলের ঋণগ্রস্ত কৃষকের সন্তান বিক্রির চেষ্টা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না গ্রামে ঋণের চাপে দিশেহারা হয়ে মাত্র ২ বছরের কন্যা সন্তানকে বিক্রির চেষ্টা করেন এক কৃষক।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চর সিন্দুর্না গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান সম্প্রতি তিনজন সুদ ব্যবসায়ী ও একজন বন্ধুর কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ভুট্টা, পিঁয়াজ ও বাদাম চাষের জন্য। ফসল বিক্রি করে কিছু টাকা পরিশোধ করলেও সুদের কারণে বকেয়া দাঁড়ায় প্রায় ৪ লাখ টাকা। প্রতিদিন পাওনাদারদের চাপ সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে তিনি তার ২ বছরের কন্যাকে বিক্রি করে দেনার বোঝা হালকা করার সিদ্ধান্ত নেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘অভাব-অনটনের সংসার। জমিজমা নেই, অন্যের জমিতে চাষ করে খাই। চারদিকে দেনার চাপ। কোথাও থেকে টাকা জোগাড় করতে না পেরে বাধ্য হয়ে মেয়েটিকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েকজন লোক মেয়েটিকে নিতে বাড়িতে আসে।’

তবে হাবিবুরের স্ত্রী নুরনাহার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানকে কোনোভাবেই বিক্রি করতে দেব না। এ কথা শুনে আমি কান্নাকাটি শুরু করলে আশপাশের মানুষ জড়ো হয় এবং মেয়েটিকে বিক্রি করতে বাধা দেয়।’

ওই এলাকার মোজাম্মেল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘ঋনের টাকা পরিশোধে নিজের কন্যা সন্তান বিক্রির করার চেষ্টা করে। তার স্ত্রীর কান্নাকাটিতে আমরা তার বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে পারি। আমাদের বাঁধায় ওই কন্যা সন্তানটিকে বিক্রি করতে পারেনি।’

সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে পাঠিয়ে পরিবারটিকে পরিষদে ডেকে আনি। পাওনাদারদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। পাশাপাশি হাবিবুর রহমানের স্ত্রীর নামে ভিজিডি কার্ড করে দিয়েছি।’

Shera Lather
Link copied!